৩ বছর পর হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন, করা হবে ডিএনএ টেস্ট
যুগান্তর প্রতিবেদন, সাভার
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার সকালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম রাসেল ইসলাম নূরের নেতৃত্বে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসা থেকে তার লাশ উত্তোলন কাজ শুরু হয়।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ লাশ উত্তোলন করার আদেশ দেন।
হারিছ চৌধুরী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও আলোচিত বিএনপি নেতা ছিলেন। ২০২১ সালে ৩ সেপ্টেম্বর সাভারের বিরুলিয়া কমলাপুর এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসায় মাহমুদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে দাফন করা হয়। পরে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন দাবি করেন এই লাশ তার বাবার।
পুলিশ জানায়, হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা, মৃত্যু সনদ, ইন্টারপোলের রেড নোটিস থেকে নাম মুছে ফেলা এবং নিজ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফন করার জন্য আবেদন করেন তার মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন।
পরে ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ লাশ উত্তোলন করার আদেশ দেন। সেই আদেশ মোতাবেক বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসা থেকে দেহাবশেষ উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন বলেন, ১৫ বছর আমার পরিবারের ওপর অনেক অত্যাচার চলেছে এবং আরও অত্যাচারের সম্ভাবনা ছিল। ২০২১ সালে ৩ সেপ্টেম্বর; সে সময় আমি বিদেশে ছিলাম, বাবার লাশ দাফন করার জন্য অনেক জায়গা খোঁজাখুঁজি করা হয়। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেকেই বলেছিলেন, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে লাশ দাফন করার জন্য। কিন্তু আমি রাজি হইনি পরে নানুর জন্য জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসাতে কিনে রাখা জমিতেই বাবার লাশ দাফন করা হয়।
জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আশিকুর রহমান কাসিমি বলেন, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মাহমুদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে মাদরাসায় দাফন করা হয়। সে সময় তার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি মাহমুদুর রহমান নামেই দিয়েছিল। এরপর পত্রিকায় একটি খবর পড়ে জানতে পারি হারিছ চৌধুরী।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম রাসেল ইসলাম নূর বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার সকালে মাহামুদুর রহমান নামে দাফন করা একটি কবর থেকে দেহাবশেষ সংগ্রহ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচয় নিশ্চিতের দেহাবশেষের ডিএনএ পরিক্ষা করা হবে। হারিছ চৌধুরীর লাশ পরিচয় নিশ্চিত হলে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানিয়ে দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।