চট্টগ্রামে মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসকের ওপর হামলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০২ পিএম
চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক ও ওয়ার্ডবয়কে মারধর করেছে জানে আলম রিমন নামে এক যুবক।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। এতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া শতাধিক রোগী বিপাকে পড়েন।
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অভিযুক্ত রিমনকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। জানে আলম রিমন স্থানীয় নুরুল আলমের ছেলে।
হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সাদা টিশার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত একজন যুবক দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীর ওপর চড়াও হন। তার নাম জানে আলম রিমন। এরপর কালো টিশার্ট পরিহিত এক যুবক চড়াও হন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলামের ওপর। বিষয়টি দেখে রিমন চিকিৎসকের দিকে এগিয়ে গিয়ে তার হাতের মোবাইল ফোনটি ছুড়ে মারেন। তখন ঘটনাস্থলে থাকা ওয়ার্ডবয় মো. নুরুল ইসলাম সুমন সাদা টিশার্ট পরিহিত রিমনকে জড়িয়ে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে তাকেও বেশ কয়েকটি কিল-ঘুসি দেওয়া হয়। পরে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী ও আনসার সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেয়।
ওয়ার্ডবয় সুমন বলেন, আমি ইমার্জেন্সিতে ঢুকতেই দেখি দুইজন ছেলে খুব হট্টগোল করছে। একপর্যায়ে রিমন নামে একজন ডাক্তার আরিফ স্যারকে তার হাতের মোবাইল ফোনটি ছুড়ে মারে। মোবাইল ফোনটি স্যারের হাতে লেগে মাথায় গিয়ে পড়ে। আমি স্যারকে রক্ষা করতে গিয়ে রিমন নামে ওই ব্যক্তিকে জড়িয়ে ধরি; কিন্তু এতে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যান। আমাকে বেশ কয়েকটি কিল-ঘুসি মারেন।
তিনি আরও বলেন, মারধর করা ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নেওয়ার দাবিতে চিকিৎসক ও কর্মচারিরা দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে। তাকে গ্রেফতার করা না হলে মঙ্গলবার থেকে টানা কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রিমনের বাবা নুরুল আলম বলেন, আমার ছেলে অবাধ্য হয়ে গেছে। এ কারণে ঘর থেকে বের করে দিয়েছি। মারধরের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা তানভীর বলেন, ‘ঘটনাটি আমি জানতে পেরে থানায় যোগাযোগ করেছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ করেছি।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, মা ও শিশু হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে একজন রোগী নিয়ে যাওয়ায় চিকিৎসক রোগীকে ভর্তি করতে হবে বলেছিল। এতেই রোগীর স্বজন ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসককে মোবাইল ফোন ছুড়ে মারেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।