ডাক্তারকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, গ্রেফতার ১
যুগান্তর প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পারভেজ আহমেদকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। হাসপাতালের মালিক মো. হাবিবুর রহমান খন্দকার ও পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকার নির্যাতনে অভিযুক্ত।
গত রোববার দুপুরে হাসপাতালের একটি রুম থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নবীনগর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় হাসপাতালের মালিক মো. হাবিবুর রহমান খন্দকার ও পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারসহ ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন চিকিৎসক পারভেজ আহমেদ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ডাক্তার পারভেজ আহমেদ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ডিউটি শেষ করে তার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই সময় মুক্তি হাসপাতালের মালিক হাবিবুর রহমান খন্দকার ওনাকে ডাকাডাকি করলে উনি অনীহা প্রকাশ করায় হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাত ৪-৫ ওনার রুমে জোরপূর্বক ঢুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে হাত-পা বেধেঁ রাখে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারকে গ্রেফতার করে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত জসিম উদ্দিন সরকার উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের রফিক উদ্দিন সরকারের ছেলে।
হাসপাতালের ম্যানেজার ঝরনা ঘোষ জানান, একজন রোগী এলে আমি রিসিট কেটে ডাক্তার সাহেবকে গিয়ে বলি, স্যার একজন রোগী এসেছেন। তখন ডাক্তার সাহেব উত্তেজিত হয়ে আমাকে জানান, আমার ডিউটি শেষ। আমি যেতে পারব না, তোমার মালিককে জানিয়ে দাও। পরে হাসপাতালের মালিক হাবিব স্যার এসেও ডাক্তার সাহেবকে অনুরোধ করেন রোগী দেখার জন্য; কিন্তু ডাক্তার সাহেব কারও কোনো কথাই মানতে নারাজ। এ নিয়ে ডাক্তার সাহেব ও হাবিব স্যার তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, আমাকে একজন ফোন করে জানান মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালে মারামারি হয়েছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতালে যাই। হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিচালক জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করলেও হাসপাতালের মালিক হাবিবুর রহমান পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।