রাজশাহী দলিল লেখক সমিতি দখলের দায় নিল না বিএনপি
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম
ফাইল ছবি
রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতি দখলের দায় নেয়নি মহানগর বিএনপি। যারা দলিল লেখক সমিতি দখল করেছেন তারা বিএনপির কেউ নয় বলে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দখলের সঙ্গে যাদের নাম এসেছে তারা আওয়ামী লীগেরই কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি।
রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতি দখলের বিষয়ে দৈনিক যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পরে বিষয়টি নজরে এলে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে বিএনপি।
গত শনিবার ‘হিটলারের দখলে রাজশাহী দলিল লেখক সমিতি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর সেদিনই মহানগর বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুল হক মন্টু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দৈনিক যুগান্তরে সংবাদের ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সুস্পষ্ট বক্তব্য- হিটলার গংদের (যারা সমিতি দখল করেছে) সঙ্গে মহানগর বিএনপির কোনো দলীয় সম্পর্ক নেই। তারা বিগত ১৭ বছরে ভোটের আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে ছিল না।
এতে আরও বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে তারা বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ও স্থিরচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং রাজশাহী মহানগর বিএনপি এদের ব্যাপারে কোনো দায় নেবে না। এরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৬ আগস্ট দলিল লেখক শামীম রেজা হিটলার বহিরাগত দুই শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের তাড়িয়ে দেন। ওই রাতে সমিতির তখনকার সভাপতি মহিদুল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়।
পরে সভাপতি মহিদুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক জাকাতুল্লাহ মলারসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্যকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন।
এরপর আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য ১৫ আগস্ট সাধারণ সভা ডাকা হয়। ওই সভায়ও বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে অবস্থান নেন হিটলার। সাধারণ সভায় সমিতির ১৪৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবে মাত্র তিনজনের সমর্থনে আব্দুর রকিব বুলবুল নামের এক দলিল লেখককে আহ্বায়ক এবং নিজেকে সদস্য সচিব রেখে ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা দেন হিটলার। তারা নিজেদের বিএনপির কর্মী পরিচয় দিয়ে এভাবে দলিল লেখক সমিতি দখলে নেন।
এদিকে মহানগর বিএনপির বিবৃতির বিষয়ে মন্তব্য জানতে সোমবার দুপুরে আব্দুর রকিব বুলবুল ও শামীম রেজা হিটলারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তারা মোবাইলে কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন। তারা বিএনপির বিবৃতি দেখেছেন জানালেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।