খাগড়াছড়িতে দুই আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলি
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৪ পিএম
আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে পাহাড়ের দুই আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফের সংগঠনের মধ্যে কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গোলাগুলির কয়েকটা ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একাধিক সূত্র ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলো পানছড়ির বলে নিশ্চিত করেছে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এমনটি নিশ্চিত করেছেন পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা।
তিনি বলেন, সকাল ৯টার পর থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি হয়েছে। আমি এলাকার বাইরে। স্থানীয়রা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
লোগাংয়ের শান্তি রঞ্জনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
তবে গোলাগুলিতে কয়েকজন হতাহতের কথা বললেও পুলিশ বলছে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শান্তি রঞ্জনপাড়ায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত গ্রুপের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও লতিবান ইউনিয়নের মাচ্ছ্যাছড়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে দুইপক্ষের মধ্যে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায় হতাহতের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
গোলাগুলির বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের জন্য কাজ করছি। ২০১৫ সালের সমঝোতা অনুযায়ী জনসংহতি সমিতি আমাদের এলাকায় আসার কথাও না, কিন্তু সেটা তারা মানছে না। গোলাগুলির ঘটনায় আমাদের সংগঠনের কেউ নিহত হয়নি। এ বিষয়ে জনসংহতি সমিতি সন্তু গ্রুপের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা বলেন, শান্তি রঞ্জনপাড়ার আশপাশ থেকে সকালে গোলাগুলির শব্দ শুনে অনেকে আমাকে জানিয়েছেন বিষয়টি। এরপর কী হয়েছে আর জানি না।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, সকাল ৯টা থেকে পানছড়ির দুর্গম এলাকায় আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির খবর শুনেছি। তবে গভীর অরণ্য হওয়ার কারণে আমরা সেখানে মুভ করতে পারিনি। তবে হতাহতের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাইনি।