ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে গত শনিবার দুপুরে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে একেএম জি কিবরিয়া মজুমদার নামের এক যুগ্ম সচিবকে গত শনিবার রাতে কসবা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। 

এ ঘটনায় বিজিবির নায়েব সুবেদার সফিউর রহমান বাদী হয়ে পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করেছেন। রোববর দুপুরে গ্রেফতার হওয়া সেই যুগ্ম সচিব একেএম জি কিবরিয়া মজুমদারকে ঢাকার পল্টন থানার একটি হত্যা মামলা ও কসবা থানার পাসর্পোট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

আটক হওয়া একেএম জি কিবরিয়া মজুমদার জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অধীনে জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমরকরা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন আহাম্মদ মজুমদারের ছেলে এবং ঢাকার সবুজবাগ এলাকা বাসাব  দক্ষিণ গাওয়ের ১৭নং প্লটের বাসিন্দা। 

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমারেখা সীমান্ত পিলার ২০৫০/৮-এস হতে ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুটিয়া নামক স্থানে একেএম জি কিবরিয়া মজুমদার নামের ওই যুগ্ম সচিব ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। 

এ সময় সালদানদী বিওপির টহল দল তাকে আটক করে। ওই দিন রাতে বিজিবির সালদানদী বিওপি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার সফিউর রহমান বাদী হয়ে পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করেছেন। 

বিজিবি সূত্রে আরও জানা গেছে, যুগ্ম সচিবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবিকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন অপরাধমূলক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তার নামে একাধিক মামলা রজু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে সীমান্ত এলাকায় আসেন।

বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এএম জাবের বিন জব্বার বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে একেএম জি কিবরিয়া মজুমদার নামের ওই যুগ্ম সচিবকে আটক করা হয়েছে। 

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল হক কবির বলেন, একেএম জি কিবরিয়া মজুমদার নামের এক যুগ্ম সচিবকে বিজিবি আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে বিজিবি বাদী হয়ে পাসপোর্টবিহীন অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের চেষ্টার একটি মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া ওই যুগ্ম সচিব সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হকের ব্যক্তিগত সহকারীও ছিলেন। তিনি ঢাকার পল্টন থানার একটি হত্যা মামলার ৬৬৬নং এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে পল্টন থানার হত্যা মামলা ও পাসপোর্ট আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।