মঠবাড়িয়ায় বাবার সামনে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১০ পিএম
পূর্ব শত্রুতার জেরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বাবার চোখের সামনে ছেলে জয়নালকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় প্রতিপক্ষ সোহরাব মাতুব্বরের ছেলে আল-আমীন ও জাহাঙ্গীরসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহতের বাবা সোহরাব মৃধা ১০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানায় মামলা করেছেন বলে শনিবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। সোহরাব মৃধা উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের তাফাল বাড়িয়া গ্রামের মৃত রুস্তুম আলী মৃধার ছেলে।
আসামিরা হলো- ওই তাফাল বাড়িয়া গ্রামের ছোহরাব মাতুব্বরের ছেলে আল আমিন, জাহাঙ্গীর, আলম, সোবাহান, মৃত. সাদিমান হাওলাদারের ছেলে শাহজাহান, ইন্দুরকানী সদর গ্রামের জাহাঙ্গীর মাতুব্বরের ছেলে রাসেল, রুবেল, ছোবাহন মাতুব্বরের ছেলে মনির, পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ কাঠালতলী গ্রামের মৃত. মজিদ মিয়ার ছেলে মঞ্জু, মৃত নূর মোহাম্মদ জমাদ্দারের ছেলে খলিল, চরদুয়ানী গ্রামের মৃত, আসমত আলী খানের ছেলে কাশেম খা এবং অজ্ঞাত ৯ জন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে সুন্দরবন এলাকায় মাছ ধরার জন্য সোহরাব মৃধা এবং তার বড় ছেলে জয়নাল (২৩), মেঝো ছেলে সোহেল ও মাঝি সালাম খান ট্রলারযোগে বাড়ি থেকে রওনা হন। পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়াণী বাজার থেকে রাতে ট্রলারে বরফবোঝাই করে শরণখোলা থানাধীন কস্তুরা খালে রাত তিনটার দিকে নোঙ্গর করেন।
৫ অক্টোবর শনিবার সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে প্রতিপক্ষ সোহরাব মাতুব্বরের ছেলে আল আমীন ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ২০ জনের একটি দল ৪টি ট্রলারযোগে এসে তাদের ট্রলার ঘেরাও করে গালমন্দ শুরু করে। জয়নাল শোয়ার রুম থেকে বেড়িয়ে সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে পূর্বপরিকল্পনা অনুয়ায়ী, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জয়নাল নদীতে ফেলে দেয়। এ সময় সোহরাব মৃধা, ছেলে জয়নালকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও হামলা চালানোর চেষ্টা করলে সে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যায়।
৬ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যার দিকে ওই নদী থেকে নিহত জয়নালের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে মঠবাড়িয়া থানায় নিয়ে আসা হয়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন নিহত জয়নালের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে জানিয়ে বলেন, ঘটনাটি শরণখোলা থানার আওতায় হওয়ায়, নিহতের পরিবারকে শরণখোলা থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শরণখোলা থানার ওসি এএইচ এম কামরুজ্জামান খান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি যেহেতু নদীর মধ্যে, তাই নৌ-পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, শিগগির আসামি গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে।