কমলনগরে মাদক ব্যবসার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নটি এখন মাদকের হাটে পরিণত হয়েছে। ইউনিয়নটির ৭, ৩ ও ২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে জমজমাট হয়ে উঠেছে মাদকাসক্তদের আড্ডা। সন্ধ্যা হলেই এসব মাদকাসক্তরা আড্ডায় মেতে উঠেন।
এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এসব অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। উঠতি বয়সি তরুণরাও দিন দিন মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরঠিকা গ্রামের আসিয়ার বাপের সমাজ, ফজুমিয়ারহাট কেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা, ফজুমিয়ারহাট ভূলুয়া ব্রিজ সংলগ্ন বিভিন্ন মাছের প্রজেক্ট, ভাইস চেয়ারম্যান নুরনবীর বাড়ীর দরজা ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়ির মাথা এলাকাগুলোকে এখন মাদকের হাট বলা হয়। এখানকার কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র ইয়াবা, মদ, গাঁজা ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিয়ে গভীর রাতে চুরি ডাকাতি করে যাচ্ছে।
আর এসব অসামাজিক কার্যকলাপের নেতৃত্বে রয়েছে চরকাদিরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরঠিকা গ্রামের মো. দেলোয়ারের ছেলে মো. শরীফ, মৃত আব্দুল মানিকের ছেলে ইসরাফিল, হারুনের ছেলে রিপাত ও সেলিম ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাব উদ্দীনের ছেলে ইসমাইল, মোতাহের হোসেন কালনের ছেলে সুজন, সানজিব ও ফিরোজ। তাদের নেতৃত্বে ওই এলাকায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে বলে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে; কিন্তু স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বায়তুন নূর মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মোমিন উল্লাহ, মসজিদের ইমাম মাওলানা আল আমিন, মাস্টার কামাল উদ্দিন বলেন, এদের যন্ত্রণায় ওই সমাজের নিরীহ মানুষগুলো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সরকার পতনের পর মাঠে পুলিশ না থাকায় সময়টাকে কাজে লাগিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে তারা। বিষয়টি প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো সুফল পাননি তারা।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে চরকাদিরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়ির মাথা নামক এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- কমলনগর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব রেদোয়ান হোসেন, কমলনগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদুল্লাহ রাজু, হেলাল মাস্টার, মুকুট বাবু, মিলন মিয়া ও ডালিম কুমার দাস। বক্তারা মাদকাসক্ত ও কিশোর গ্যাংয়ের লিডারদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খবর পেয়েছি। এসব অপরাধীকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।