প্রধান শিক্ষকের গাফিলতি
ঘুস না দেওয়ায় ৭ বছরেও এমপিওভুক্ত করা হয়নি গ্রন্থাগার সাবুকে
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
সাবু মিয়া চৌধুরী
বগুড়ার সোনাতলায় লুৎফর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে সহকারী গ্রন্থাগারিক সাবু মিয়া চৌধুরীর চাকরি গত ৭ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমপিওভুক্ত করার জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুস দাবি করছেন প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগে জানা গেছে, ভুক্তভোগী সাবু মিয়া চৌধুরী বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পদ্মপাড়া গ্রামের মোতাহার হোসেন চৌধুরীর ছেলে। তিনি গত ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল গ্রামের লুৎফর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে যোগদান করেন।
২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়। তখন ওই বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ১২ জন এবং পাঁচজন কর্মচারী এমপিওভুক্ত হন; কিন্তু গত সাত বছরে সহকারী গ্রন্থাগারিক সাবু মিয়া চৌধুরীর চাকরি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তিনি হতাশ।
সহকারী গ্রন্থাগারিক সাবু মিয়া চৌধুরী অভিযোগ করেন, প্রতি বছর শিক্ষক কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য ব্যানবেইসে আপলোড দিতে হয়। প্রধান শিক্ষক আবদুল আলিম সব তথ্য দিলেও ইচ্ছাকৃত তার (সাবু মিয়া চৌধুরী) নাম দেননি। ফলে তিনি গত সাত বছরে এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। এতে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে অবহিত করলে তিনি এমপিওভুক্তির জন্য তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে লুৎফর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আলিম বলেন, ব্যানবেইসে তথ্য না দেওয়ায় ওই শিক্ষক এমপিওভুক্ত হননি। তবে তিনি ইতোপূর্বে সাবু মিয়ার কাগজপত্র এমপিওভুক্তির জন্য প্রেরণ করেছেন।
প্রধান শিক্ষক এমপিওভুক্তির নামে সাবু মিয়া চৌধুরীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেন।