হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হামলার শিকার নারীসহ ৩ জন
উপকূল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে নারীসহ তিনজন হামলার শিকার হয়েছেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতালের নারী মেডিসিন বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মোসা. আসমানী বেগম (৩৫) ও তার স্বামী আব্দার আলী (৫৫) এবং কলেজপড়ুয়া ছেলে আশিক আল আদনান (২৫)।
তাদের অভিযোগের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় আব্দার আলী বাদী হয়ে ৯ অক্টোবর রাতে পটুয়াখালী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আব্দার আলী পটুয়াখালী এলজিইডি দপ্তরে চালক পদে কর্মরত। ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানান মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
আব্দার আলী বলেন, তার স্ত্রী আসমানী বেগম শ্বাসকষ্ট নিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে নারী মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। ওয়ার্ডে পৌঁছে দায়িত্বরত নার্সকে চিকিৎসা ও বেড পাওয়ার অনুরোধ করেন তারা। এ সময় দায়িত্বরতরা তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করে, যা বাগবিতণ্ডায় রূপ নেয়। পরে বিষয়টির মীমাংসা হয়।
মামলার বাদী আব্দার জানান, কিছুক্ষণ পর মেডিকেল অ্যাপ্রোন পরিহিত ২০-২৫ জন যুবক আব্দার আলী ও তার ছেলে আশিককে মারধর শুরু করে। এ সময় বেড থেকে উঠে স্ত্রী আসমানী বেগম স্বামী-সন্তানকে রক্ষা করতে এলে তাকেও মারধর শুরু করে।
তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে আসমানীর চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে বাথরুমের ভেতর নিয়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসিসহ বেদম প্রহার করা হয়। তাদের ওপর তিন দফা হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেন তিনি।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জড়িতদের নাম-পরিচয় না পাওয়ার কারণে অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে ঘটনা স্বীকার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা জানান, এ ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে এসেছিল এবং তার কক্ষে অবস্থান করে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে সমঝোতা করে দেন। তাছাড়া এ ঘটনায় তার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি কেউ।