দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভাঙন ঠেকাতে ফেলা হচ্ছে বালুভর্তি জিওব্যাগ

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৫ ও ৬ নম্বর ফেরিঘাটে ভাঙন রোধে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, সেখানে ভাঙন রোধে নতুন বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে কাজ করছেন শ্রমিকরা।
এখানে ৭টি ফেরিঘাটের মধ্যে বিগত দিনে ভাঙনে বন্ধ হয়ে গেছে ৪টি ঘাট। বর্তমানে দৌলতদিয়ার মাত্র তিনটি সচল ঘাট দিয়ে ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। হুমকিতে রয়েছে লঞ্চঘাটও।
ঘাট এলাকার কয়েকজন জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় তীব্র ভাঙন চলছে। ঘাটগুলো কয়েক দফা ভাঙনের শিকার হয়েছে। এবারো চলছে ভাঙন। ভাঙনে ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, দৌলতদিয়া ঘাট টার্মিনাল, বাজারসহ নদীপাড়ের কয়েকটি গ্রামের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে ঘাট আধুনিকায়ন ও নদী শাসনের আশার বাণী শোনায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ দায়িত্বশীলরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাহ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়ায় ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ঘাটটি সচল আছে। ফেরিঘাটে ভাঙন প্রতিরোধে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ভাঙন ঠেকাতে বিআইডব্লিউটিএর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে বালুভর্তি ১০ হাজার জিওব্যাগ ফেলার কাজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঘাটের বিভিন্ন ভাঙন কবলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ১০ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হবে।
জিওব্যাগ ফেলার সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।