বাবার সামনে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় প্রতিপক্ষরা
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
পূর্বশত্রুতার জেরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বাবার চোখের সামনে ছেলে জয়নালকে (২৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় প্রতিপক্ষরা। দুই দিন পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ নিহতের লাশ পরিবারের কাছ হস্তান্তর করে।
নিহত জয়নাল উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের তাফাল বাড়িয়া গ্রামের সোহরাব মৃধার ছেলে।
নিহত জয়নালের পিতা প্রতক্ষ্যদর্শী সোহরাব মৃধা বলেন, গত ৪ অক্টোবর দুপুরে সুন্দরবন এলাকায় মাছ ধরার জন্য আমি আমার বড় ছেলে জয়নাল, মেজো ছেলে সোহেল ও মাঝি সালাম খান ট্রলারযোগে বাড়ি থেকে রওনা হই। পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়াণী বাজার থেকে ট্রলারে বরফবোঝাই করে রাতে শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি এলাকায় নোঙর করি। ৫ অক্টোবর সূর্য ওঠার আগে আমার প্রতিবেশী ১৫-২০ জনের দল ৪টি ট্রলারযোগে এসে আমাদের ঘেরাও করে গালমন্দ শুরু করে। এ সময় ঘুম-ঘুম চোখে আমার ছেলে জয়নাল শোয়ার রুম থেকে বেড়িয়ে সামনে বেড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে আমিও নদীতে ঝাঁপ দেই; কিন্তু ছেলেকে আর পেলাম না। পরে হামলাকারীরা ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এরপর বিভিন্ন লোকের সহযোগিতায় বেশ কয়েকটি ট্রলার ও নৌকা নিয়ে নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজতে থাকি। রোববার সন্ধ্যায় ওই নদী থেকে ছেলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৩টার দিকে মঠবাড়িয়া থানায় নেওয়া হয়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন নিহত জয়নালের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি সুন্দরবন শরণখোলা রেঞ্জের আওতায় হওয়ায় নিহতের পরিবারকে শরণখোলা থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।