পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মামলা
নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
ফরিদপুরের সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমানের (৩৫) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন হত্যা মামলার আসামি সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক কামরুল ইসলাম।
মামলায় পুলিশ অফিসার সুমিনুরের সাবেক বডিগার্ড পুলিশ সদস্য আরিফ হোসেনকেও (৩৫) আসামি করা হয়েছে।
রোববার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৭ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহিদুল হাসান লাবলু। তিনি বলেন, আদালতের বিচারক মো. মারুফ হুসাইন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাটি মিথ্যা ও হয়রনিমূলক দাবি করে পুলিশ কর্মকর্তা মো. সুমিনুর রহমান বলেন, সালথার ইজিবাইকচালক আলী মাতুব্বর হত্যার ঘটনা তদন্তে কামরুল আসামি হিসেবে শনাক্ত হয়। ওই মামলাটি এখনো পিবিআই তদন্ত করছে। ওই হত্যা মামলায় কামরুল আসামি হওয়ায় আমার ওপর তিনি ক্ষিপ্ত হন। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য এ নাটক সাজিয়েছেন। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কামরুল ইসলাম তার দলীয়পদের পরিচয় ও ক্ষমতা ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে বিভিন্ন অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ওই নেতা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছে।
সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক কামরুল ইসলাম বলেন, আমি পুলিশ কর্মকর্তার কাছে চাঁদা দাবি করি নাই। মামলা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোজাম্মেল হোসেন খান মিঠু বলেন, ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নিয়ে যে কেউ মামলা করতেই পারে। তবে দলীয় পরিচয়ে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে এ রকম সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ওই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে পাওয়া গেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।