এক দিনে ভারত থেকে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ডিম আমদানি
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
দ্বিতীয়বারের মতো একই দিনে ভারত থেকে দুটি চালানে ডিম এলো ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮০ পিস। রোববার দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম চালানে আসে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম, একই পরিমাণ ডিমের চালান আসে রাতে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ডিম পর্যায়ক্রমে আরও আসবে ৪২ লাখ।
কাস্টমস সূত্র জানায়, এক হাজার ১০৪ বক্স ডিম নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। আমদানি করা এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৫৮ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য পড়ে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সব খরচ মিলিয়ে এক টাকা ৮৪ পয়সা। প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৭ টাকা ৫০ পয়সা। এমতাবস্থায় পেঁয়াজ ও আলুর মতো ডিম আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে দুটি চালানে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮০ পিস ডিম আমদানি করেছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভাণ্ডার। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সল্যুশনের অংশীজন শাহ আলম বলেন, দুই মাসের সময় বেঁধে দিয়ে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তার মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো একই দিনে ভারত থেকে দুটি চালানে ডিম এলো ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮০ পিস ডিম।
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। অথচ প্রতিটি ডিমের শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা (অন্যান্য খরচসহ)। এই শুল্ক ৫০ পয়সার নিচে রাখলে বাজারে ডিমের দাম অনেক কমে যেত। তারা পেঁয়াজ ও আলুর মতো শুল্ক মওকুফ করার জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাড়ে সাত টাকায় প্রতিটি ডিম আমদানি হলেও পরিবহণ, শ্রমিক, ওয়েস্টেজ (নষ্ট ডিম) বাবদ প্রতিটি ডিমে আরও অন্তত ৩ টাকা খরচ হয়। আমদানি করা প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৬০ থেকে ৭০ পয়সা দরে পাইকারি বিক্রি হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক কাজী রতন বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের চালান বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হয়। রাজস্ব আদায় করে দ্রুত ডিমের চালান খালাস করে দেওয়া হয়।