ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘প্রচলিত গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে আমেরিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অশান্তি লাগিয়ে রেখেছে। ইসরাইলকে দিয়ে ফিলিস্তিনে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।’

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা সদরের মোকামবাড়ী শাহী ঈদগাহ্ মাঠে রোববার বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চান্দিনা উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণহত্যার বিচারসহ ৪ দফা দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের বিষয়ে চরমোনাই পির বলেন- ‘ঐক্যের ডাক এসেছে। আমরা চাই ইসলামী দলগুলোর একটিমাত্র বাক্স থাকুক। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামের শাসন কায়েম করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন- ‘ভারতে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় নিয়ম-কানুন পালন করতে পারে না। বিজাতিরা বিশ্ব দরবারে ইসলামকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে যে মানুষ ইসলামের কথা শুনলে ভয় পায়। আসলে ইসলাম শান্তির ধর্ম। ভয়ের জিনিস না। ইসলামে চোরের হাত কাটার নিয়ম আছে। তবে ব্যাখ্যাটা জানতে হবে। চোর দুই প্রকার, অভাবে চোর, স্বভাবের চোর। ক্ষুধার জ্বালায় বা অভাবে চুরি করলে তাকে ক্ষমা করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদ ও আমলারা হচ্ছে স্বভাবে চোর। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করেছে। তাদের কয়েক জনের হাত কেটে দিলে অন্যরা সাবধান হয়ে যাবে।’

৫ আগস্ট এর বিষয়ে তিনি বলেন- ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কত মায়ের বুক খালি হলো, কত মেধাবী জীবন দিলো আরেক দিকে একদল লোক লুট-পাট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরলো। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চান্দিনা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম কাসেমীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কেন্দ্রীয় দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফী, মুফতি হেদায়াতুল্লাহ্ খান আজাদী, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ তৈয়্যব, মাওলানা মুহাম্মদ নূর হোসাইন, মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন, কে.এম হুমায়ূন কবির, মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, হোসাইন আহমাদ। 

সমাবেশ সঞ্চালন করেন ইসলামী আন্দোলন চান্দিনা শাখার সাইফুল ইসলাম সরকার ও যুব আন্দোলন সহ-সভাপতি জোবায়ের খান ফরাজী।