বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সুনামগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউপির আওয়ামী লীগের সভাপতি মখলিছুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের চাচা বলে পরিচিত।

শনিবার সকালে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউপির বুড়াইরগাঁও গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ইউপির সভাপতি মখলিছুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্ততি চলছে। 

ছাতক থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, সুনামগঞ্জ সদর থানায় এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে বাদীর ভাই জহুর আহমদ গুলিবিদ্ধ হন। হাফিজ আহমদ দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমদের ছেলে। সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রঞ্জিত সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, সদর থানার ওসি খালেদ চৌধুরী এবং এসআই রিয়াজ আহমদ। 

এ মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী এবং সাংবাদিকসহ ৯৯ জনের নামে ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলায় বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও আসামিদের নির্দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, সাউন্ড গ্রেনেডসহ দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।