চাকরিতে জালিয়াতির অভিযোগ
সমুদ্র গবেষণার দুই নারী কর্মকর্তা বরখাস্ত
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) থেকে দুই নারী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. তৌহিদা রশীদ স্বাক্ষরিত একটি আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সীমা রানী ও মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ফাতেমা রহমান অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। ড. তৌহিদা রশীদ জানিয়েছেন, সরকারি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়ম ধরা পড়েছে। ফলে চাকরিকালীন উত্তোলিত বেতন সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
সীমা রানী চাকরিকালীন ১৭ লাখ ৪ হাজার টাকা এবং ফাতেমা রহমান ১০ লাখ ২৩ হাজার ৫০৭ টাকা বেতন তুলেছেন। তবে বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কিছু জানা যায়নি।
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ২০১৫ সালে কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং পাহাড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সীমা রানী ও ফাতেমা রহমান ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট চাকরিতে যোগদান করেন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ডাক, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি অডিট অধিদপ্তরের মাধ্যমে বার্ষিক কার্যক্রমের নিরীক্ষা করা হয়, যেখানে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়। অডিট প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা রহমান নির্ধারিত আবেদন প্রক্রিয়ার বাইরে চাকরি পেয়েছেন এবং সীমা রানী শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
সীমা রানী ২০১৯ সালে সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার পদে আবেদন করেছিলেন, যেখানে প্রয়োজন ছিল ডক্টরেট ডিগ্রি অথবা স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। তবে তার কোনো উচ্চতর ডিগ্রি নেই; তিনি ২০০২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস কোর্সের ডিগ্রি অর্জন করেন। মহাপরিচালক ড. তৌহিদা রশীদের নোটিশে আরও বলা হয়েছে যে, ফাতেমা রহমান নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহলকে বিশেষভাবে ম্যানেজ করে সরকারি চাকরি নিয়েছেন এবং সীমা রানীও যথাযথ সনদ ছাড়াই দায়িত্ব পালন করেছেন।