বগুড়ায় আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আট নেতা গ্রেফতার
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
বগুড়ার তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ শাজাহানপুরের ফুলতলা থেকে তিনজন, নন্দীগ্রামে চারজন ও গাবতলীতে একজনকে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুমন রঞ্জন সরকার ও অন্য কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন।
গ্রেফতার নেতাকর্মীরা হলেন-বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলার মৃত শুকুর আলীর ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মো. ঝন্টু ও সোলাইমান আলীর ছেলে মো. মানিক এবং চককানপাড়ার বাকিরুলের ছেলে মো. বাপ্পী, নন্দীগ্রাম উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আশরাফ মামুন, নন্দীগ্রাম পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ফেরদৌস আলম, আওয়ামী লীগ কর্মী মাসুদ রানা ও ভাটরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম এবং গাবতলীর পাইকারপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা আজিজার রহমান পাইকারের ছেলে যুবলীগ নেতা নিরাশ পাইকার।
শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ফুলতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সন্ত্রাসী ঝন্টু, মানিক ও বাপ্পীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঝন্টুর বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ ১২টি, মানিকের বিরুদ্ধে দুটি চাঁদাবাজি ও বাপ্পীর বিভিন্ন দুটি মামলা রয়েছে। এরা সদর থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর মামলার আসামি। এদের গ্রেফতারে এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে তিনি জানান।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন বিএনপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে থানায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় মাহমুদ আশরাফ মামুন, ফেরদৌস আলম, মাসুদ রানা ও সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গাবতলী থানার ওসি আশিক ইকবাল জানান, জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক সুরাইয়া জেরিন রনি তার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর গাবতলী থানায় মামলা করেন। এ মামলার নামীয় আসামি যুবলীগ নেতা নিরাশ পাইকারকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলে পাঠানো হয়েছে।