কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক কাজের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে যুগান্তরে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। পরে ওই মাদ্রাসা সুপারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার যুগান্তর অনলাইনে ‘শিক্ষিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় মাদ্রাসা সুপার’ ও রোববার যুগান্তর প্রিন্টে ‘শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজ দেখে ফেলায় ছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন সুপার’ এবং সোমবার ‘শিক্ষিকা ছাড়াও ছাত্রদের সঙ্গে আপত্তিকর কাজ করেন সেই সুপার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন জানান, শনিবার যুগান্তরের সংবাদ আমাদের সবার নজরে আসে। পরে রোববার মাদ্রাসা কমিটির জরুরি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মিটিংয়ে এক বাক্যে সুপার নিজাম উদ্দিনকে দোষারোপ করে শাস্তিস্বরূপ তাকে মাদ্রাসা সুপারের দায়িত্ব থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার পুনরায় একটি মিটিংয়ের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। পাশাপাশি সুপার নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় এক শিক্ষিকাকেও মাদ্রাসা থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, যুগান্তর সত্য প্রকাশ করে প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের অন্তর্চক্ষু খুলে দেওয়ায় যুগান্তর কর্তৃপক্ষ ও প্রতিবেদকের প্রতি আমরা সবাই কৃতজ্ঞ।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিন বলেন, নির্বাহী অফিসারের আদেশে আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।