ময়মনসিংহে স্বজনের সংবাদ সম্মেলন
ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় সহায়তার দাবি
ময়মনসিংহ ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা, গাজীপুর, মাওনা ও নারায়ণগঞ্জে আহত হয়ে ময়মননিসংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ছাত্র-দিনমজুরসহ প্রায় ২০ জন।
এদের মধ্যে অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, আবার অনেকেই কাজ করার সক্ষমতা হারিয়েছেন, কারও শরীরে এখনো বুলেট বিদ্যমান। হাসপাতালে সরকারিভাবে চিকিৎসাসহ সার্বিক সুবিধা পেলেও আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে পারছেন না। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাসপাতালে তাদের পরিচর্যাকারী ও পরিবারের সদস্যরা। তাই সরকারসহ বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক আল নূর মোহাম্মদ আয়াশ, আহত আমিনুল হক ও মামুনুর রশীদ। এ সময় আহত রাকিব হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন, সাগর, তোফাজ্জল, মেহরাব হোসেন, রবিউল, শামীম, রাকিব মিয়া, রিয়াদ, মাজহারুল, মনিরুল, বিপুল, নাজমুল, মেহেদী হাসান হৃদয়, সোহেল ও আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। আহতদের বাড়ী ময়মনসিংহ, গাজীপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায়।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরের মামুনুর রহমান বলেন, তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি মাদ্রাসার মুতামিম ছিলেন। ২০ জুলাই আন্দোলনে গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানে তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন। কিন্তু তার ৭ জনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় পরিবার মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছেন।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার দেওখলা এলাকার রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরে অটোরিকশা চালাতেন। ১৯ জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে এখন অক্ষম। তার উপার্জনেই পরিবারের ৫ সদস্য চলতেন। সরকারের সাহায্য পেলে পরিবারের সদস্যরা উপকৃত হবে।