শ্রীপুরে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে বন্ধুকে হত্যা করল নরসুন্দর
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৪ পিএম
প্রতীকী ছবি
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কের জেরে এক নরসুন্দর তার গার্মেন্টস শ্রমিক বন্ধুকে সেলুনে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়েছে। পুলিশ সেলুন থেকে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে।
বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা মধ্যপাড়া গ্রামের জেস্টস পার্লার নামক একটি সেলুনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত আবু সাঈদ (২৩) স্থানীয় গ্রিন টেক্সটাইলের শ্রমিক। তিনি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানার আলমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি মাওনা মধ্যপাড়া আল-আমিন সরকার বাবুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
অভিযুক্ত নরসুন্দর মো. খলিল মিয়া (২৬) সিলেটের সদর উপজেলার মসজিদ কলোনি গোটাটিকর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। তিনি মাওনা উত্তরপাড়া এলাকার আবু হানিফের দোতলা দোকান ভাড়া নিয়ে জেস্টস পার্লার নামক একটি সেলুন পরিচালনা করতেন। তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে ওই এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহত আবু সাঈদের ভাড়া বাসার মালিক আল আমিন সরকার যুগান্তরকে জানান, গত একমাস আগে নরসুন্দর খলিল মিয়া নিহত আবু সাঈদকে তার বাড়িতে এনে ভাড়ায় থাকতে দেয় এবং আবু সাঈদ নরসুন্দর খলিলের বাসায় খাবার খেত।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাওনা উত্তরপাড়া এলাকার আবু হানিফের দোতলা দোকান ভাড়া নিয়ে জেস্টস পার্লার নামক একটি সেলুন পরিচালনা করতো নরসুন্দর খলিল মিয়া।
সেই সূত্র ধরে নরসুন্দর খলিলের সঙ্গে গার্মেন্টস শ্রমিক আবু সাঈদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সুবাদে আবু সাঈদ নরসুন্দর খলিলের বাসায় মেস হিসেবে খাবার খেতে এবং যাওয়া আসা করত। সেই সুবাদে নরসুন্দর খলিলের স্ত্রীর সঙ্গে গার্মেন্ট আবু সাঈদের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্ত্রীর সঙ্গে এ পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানার পর কৌশলে তাকে সেলুনে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় নরসুন্দর খলিল। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীর সঙ্গে এ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোতলা থেকে নিহতের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক এবং নিহত ব্যক্তি পূর্ব পরিচিত এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্কও ছিল। প্রাথমিক ধারণা পরকীয়া সংক্রান্ত বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ ছাড়াও অন্যান্য সংস্থা তদন্ত করছেন। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।