স্বামীসহ সাবেক এমপি হেনরী ৭ দিনের রিমান্ডে
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সদ্য সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরী ও স্বামী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকালে সদর থানা পুলিশ তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রঞ্জু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ সময় রিমান্ডের বিরোধিতা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। পরে দীর্ঘ প্রায় ৩২ মিনিট শুনানি শেষে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ (সদর আমলি আদালত) এর বিচারক মো. রাসেল মাহমুদ তাদের দুজনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিক সরকার ও সিরাজগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান।
তারা জানান, আসামিদের নামে ৩টি হত্যা ও একটি অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা এজাহার নামীয় আসামি। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এ মামলায় জান্নাত আরা হেনরী ৭নং ও তার স্বামী শামীম তালুকদার লাবু ৯নং আসামি।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু, ছাত্রদলের সদস্য মো. সুমন ও যুবদলের কর্মী আব্দুল লতিফ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২২ আগস্ট রাতে নিহত রঞ্জুর স্ত্রী পৌরসভার মাছুমপুর মহল্লার মৌসুমী খাতুন, ছাত্রদলের কর্মী নিহত সুমনের বাবা শহরের গয়লা মহল্লার গঞ্জের আলী এবং একই মহল্লার নিহত যুবদল কর্মী আব্দুল লতিফের বোন মোছা. সালেহা খাতুন বাদী হয়ে এমপি জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবুসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করে তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই তিন হত্যা মামলা ছাড়াও সরকারি নির্দেশ মোতাবেক তাদের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও গুলি জমা না দিয়ে নিজ দখলে রাখা এবং পরে তাদের সেই অস্ত্র ও গুলি সদর উপজেলার একটি নির্মাণাধীন মসজিদের সিঁড়ির নিচ থেকে উদ্ধারের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা হয়।
এর আগে মৌলভীবাজার জেলার বর্ষীজোড়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বুধবার বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাদের আদালতে আনা হয়। এ সময় তাদের শাস্তি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্র প্রতিনিধি, নিহতের স্বজন ও সাধারণ জনতা।