সাবেক মহিলা এমপিসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গুরুদাসপুর (নাটার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
নাটারের গুরুদাসপুরে যুবদল নেতাকর্মীদর ওপর হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে নাটোর-নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩২ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় রাতেই বিয়াঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন রান্টুকে গ্রেফতার করে আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বিএনপি কর্মী সালাহ উদ্দিন কাফি বাদী হয়ে বুধবার গুরুদাসপুর থানায় মামলাটি করেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত এমপি আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আসিফ আব্দুল্লাহ বীন কুদ্দুস শোভন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সবুজ, কল্লোল ফাউন্ডশনের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাসিশ কবির, যুবলীগ নেতা জামান সরকার প্রমুখ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫ জনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৯ অক্টোবর গুরুদাসপুর উপজেলা যুবদলের আহায়ক শরিফুল ইসলাম বিপ্লব ও বিএনপি কর্মী সালাহ উদ্দিন কাফির কাছ থেকে গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় শিক্ষা সংঘ এলাকায় সাবেক এমপি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি ও আসিফ আব্দুল্লাহ বীন কুদ্দুস শোভনের হুকুমে আসামিরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তীতে মিল্টন, রেজাউল করিম সবুজ ফকির, সুজন আহম্মদ মবিদুল ইসলামের কাছে অভিযুক্ত সব আসামির উপস্থিতিতে পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করেন সালাহ উদ্দিন কাফি।
বাকি পাঁচ লাখ টাকা দিতে না পারায় ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলা যুবদলের আহায়ক শরিফুল ইসলাম বিপ্লব, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজের ছেলে নুরুজ্জামান মিটু, বিএনপি কর্মী আরিফুল ইসলাম ও সালাহ উদ্দিন কাফি চাঁচকৈড় বাজারের ক্যাফে রোজ হোটেলে খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আসামিরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, রাতেই বিয়াঘাট ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন রান্টুকে গ্রেফতার করে আদালত প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।