হাসিনা-কাদের-মামুন-হারুনসহ ১৬০ জনের নামে মামলা
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনুর রশীদ ও কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনসহ ১৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাজিতপুর পৌরসভার রাবারকান্দি গ্রামের লালু মিয়ার ছেলে লোকমান মিয়া (২৫) বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল আদালত-৫ এ মামলাটি দায়ের করেন। বাদী বাজিতপুর কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চলাকালে ১নং আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজকে রাজাকার বলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। ২নং আসামি সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ দিয়ে সারা দেশের ছাত্রসমাজকে পিটিয়ে সোজা করবেন মর্মে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। ১ ও ২নং আসামির এ বক্তব্যের পর সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাজিতপুর উপজেলাতেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলতে থাকে।
এ ছাত্র আন্দোলনকে দমন করতে ১ থেকে ৫নং আসামির নির্দেশনায় সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর অবাধে গুলি চলে। এরই প্রেক্ষাপটে গত ৪ আগস্ট ১ থেকে ৫নং আসামির সঙ্গে ৬নং আসামি কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতার ওপর ৭ থেকে ১৭, ১৯, ২০, ২১, ২৮, ৩০, ৪২নং আসামিরা অস্ত্র হাতে বাজিতপুর বাজার থেকে গুলি করতে করতে বটতলা মোড়ের দিকে যায়। সেখানে ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭নং আসামি ব্যাপকভাবে গুলিবর্ষণ করে এবং তাদের গুলিতে সাক্ষীরা গুলিবিদ্ধ হন।
এর মধ্যে আলী আকবরের গুলিতে ২নং সাক্ষী রিফাক গুরুতর আহত হয়ে শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। অন্যান্য সাক্ষীরাও প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তাছাড়াও বাজিতপুর উপজেলার আরও ৫০-৬০ জন ছাত্র-জনতা গুরুতর আহত হন। অন্যান্য আসামিদের হাতে থাকা রামদা, চুরি, লাঠি, বল্লম, ইট ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র জনতা ও বিএনপির সমর্থিত মিছিলে মারপিটসহ বিভিন্নভাবে লুটপাট করে। এছাড়া আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুবাক্কার সিদ্দিক মিলন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলাটি আদালত গ্রহণ করে বাজিতপুর থানাকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।