হামলার বিচার চেয়ে কাঁদলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক
তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
বরগুনার তালতলীতে বিএনপির জহিরুল হক ছোট্ট ও ইমরান হোসেন ফোরকানের ওপর সাবেক যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম লিটুর নেতৃত্বে হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল হক। বুধবার বেলা ১১টার দিকে তালতলী প্রেস ক্লাবের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
একই সঙ্গে হামলায় জড়িত আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী ও তার দোসরদের কঠিন বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে শহিদুল হক বলেন, গত ১৭ বছরে দলীয় কর্মকাণ্ডে বিএনপির নামধারী ও সুযোগবাদী সদস্য ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধা সাবেক যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম লিটুর বাহিনীকে দলে প্রবেশ করিয়ে দখলদারি, চাঁদাবাজি এবং আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী ত্যাগী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে দলকে দুর্বল করার আওয়ামী লীগের মিশন বাস্তবায়ন করেছেন। তারা গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরেই ৮ আগস্ট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টার দিকে আওয়ামী সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ তালতলি বাজারে শোডাউন দেয়। তারা বিএনপি নেতা জহিরুল হক ছোট্ট ও ইমরান হোসেন ফোরকানকে এলোপাতাড়ি মারধর ও হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে তালতলী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতের অবস্থা গুরুতর দেখে বরিশাল রেফার্ড করেন।
এ ঘটনায় থানায় নজরুল ইসলাম লিটু ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধাসহ ২৯ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন ছোট্টর ভাই দুলাল।
এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধা বলেন, সংবাদ সম্মেলনে তিনি যে বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা। তিনিই আওয়ামী লীগের সময় সব সুযোগ নিয়েছেন। তাকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে উপজেলা বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।