Logo
Logo
×

সারাদেশ

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন ফেব্রিক্সের চালান আটক

Icon

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন ফেব্রিক্সের চালান আটক

বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে কাগজপত্রবিহীন ভারতীয় শাড়িসহ ৪৮৫ প্যাকেজের ফেব্রিক্সের চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্য চালানটি সোমবার রাতে আটক করা হয়েছে।

আটককৃত পণ্য চালানটির মোট ওজন ১৭ হাজার কেজি এবং শুল্ককরসহ মোট মূল্য প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ টাকা বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান।

এ কথা নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী।

সোমবার সন্ধ্যার দিকে বন্দরের ১৭ নাম্বার শেড থেকে গোপনে বাংলাদেশি ট্রাকে উঠানোর সময় পণ্য চালানটি আটক করা হয়। বন্দরের ১৭ নাম্বার শেডে দায়িত্বে থাকা আব্দুল মতিনের সহযোগিতায় পাচার হচ্ছিল পণ্য চালানটি।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় উন্নতমানের ৭০ পিস ভারতীয় শাড়িসহ অবৈধভাবে আনা ফেব্রিক্সের একটি চালান বেনাপোল বন্দরের ১৭ নাম্বার শেড থেকে কাভার্ডভ্যানে উঠানো হচ্ছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পণ্য চালানটি আটক করা হয়। এ সময় পণ্যভর্তি ট্রাকটি রেখে কৌশলে পালিয়ে যায় শেডে দায়িত্বে থাকা আব্দুল মতিন ও পাচারকারীরা।

পরে দায়িত্বরত আব্দুল মতিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও পণ্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি। এছাড়াও কে বন্দর শেডে পণ্য চালানটি রেখেছে এবং কে লোড করছিল সেই বিষয়েও মুখ খোলেননি মতিন।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রান্ত নামে একজন এনজিও কর্মী ও শেডে দায়িত্বরত আব্দুল মতিন মিলে আব্দুল্লাহ নামের একজনকে দিয়ে কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে শেডে থেকে পণ্য চালানটি পাচার করছিলেন। চক্রটি একাধিকবার এমন অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও গুঞ্জন রয়েছে।

এদিকে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং অ্যাসোসিয়েশনের বইয়ে এবং ওই সিএন্ডএফের অফিস অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের কার্গো শাখা থেকে জানায়, ওই নামে কোনো সিএন্ডএফ এজেন্ট নেই এবং আব্দুল্লাহ নামে কোনো বর্ডার ম্যানকে তারা চেনে না। কৌশল অবলম্বনে ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করা হতে পারে।

স্থানীয় সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবত বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে বন্দর ও কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পণ্য আমদানি করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। আর এসব শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অসাধু আমদানি কারক ও সিএন্ডএফ সদস্যরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বন্দরের নিরাপত্তায় বিভিন্ন সংস্থার নিরাপত্তাকর্মী ও সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও কাজে আসছে না অনিয়ম রোধে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির অবৈধ পণ্য চালান আটকের বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি কাস্টমস তদন্ত করছেন। তবে বন্দরের কারো দায়িত্ব পালনের অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, আমদানিকৃত কোনো পণ্যে অনিয়ম পেলে সেটা তো আটক করতেই হবে। সোমবার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে একটি কাগজপত্রবিহীন ৭০ পিস শাড়িসহ ৪৮৫ প্যাকেজের ফেব্রিক্সের চালান আটক করা হয়েছে। বর্তমান বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হয় না বেনাপোল কাস্টমস হাউসে।

তিনি বলেন, এ ধরনের অবৈধ কাজের সঙ্গে কারা জড়িত তদন্ত না করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এখনো জানতে পারিনি এর সঙ্গে কারা জড়িত আছে। এ ধরনের কাজের সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম