প্রেমে রাজি না হওয়ায় গলায় ছুরি ধরে বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণ
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
বিউটিশিয়ান প্রেমে রাজি না হওয়ায় তার বাসায় ঢুকে গলায় ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন বিউটিশিয়ান।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান মঙ্গলবার মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনার ডিবিপ্রধানকে সাত দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার আসামি হলেন বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের মধ্য চরকগাছিয়া গ্রামের মো. ইউনুস মিয়ার ছেলে মো. সাঈম হোসেন (২৫)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনার বিশেষ পিপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
জানা যায়, বিউটিশিয়ান বরগুনা পৌরসভায় বসবাস করেন। শহরে একটি বিউটি পার্লারে তিনি কাজ করেন। সাঈম বিউটিশিয়ানকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বিউটিশিয়ান প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে সাঈম প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে। বিউটিশিয়ানের চলার পথে সাঈম কুরুচিপূর্ণ আচরণ করে।
সাঈম ফোন নম্বর সংগ্রহ করে বিউটিশিয়ানকে বারবার ফোন দিয়ে নোংরা ভাষায় কথা বলে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে নিত্যদিনের মতো পার্লারের কাজ শেষ করে বিউটিশিয়ান তার বাসায় আসেন। রাত সাড়ে ৯টায় সাঈম বিউটিশিয়ানের বাসার দরজায় নক করে। বিউটিশিয়ান দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সাঈম জোর করে বাসায় ঢুকে মুখ চেপে গলায় চাকু ধরে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে চলে যায়।
বিউটিশিয়ান বলেন, সাঈম আমার বাসায় নক করেছে তা বুঝতে পারিনি। তাকে দেখে দরজা বন্ধ করার আগেই জোর করে সাঈম বাসায় ঢুকে আমার গলায় ছুরি ধরে বলে- ডাকচিৎকার দিলে মেরে ফেলব। আমি বাধা দিলে সাঈম আমাকে মারধর করে আমাকে ধর্ষণ করে চলে যায়। সাঈম আমার কতগুলো ছবি তুলে নেয়। আমি বাড়াবাড়ি করলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে যায়। আমি বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বরগুনা থানায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিকালে মামলা করতে যাই। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা গ্রহণ করেননি।
আসামি সাঈম হোসেনের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, বাদী বরগুনা থানায় মামলা করতে আসেননি। মামলা করতে এলে অবশ্যই মামলা নিতাম।