ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু, লাশ তুলতে দিল না পরিবার
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ পিএম
মাগুরার মহম্মদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সুমনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তুলতে দিল না পরিবার। এতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে গেলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অন্যদিকে নিহত আহাদ বিশ্বাসের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করতে দিয়েছে তার পরিবার।
সুমন আদর্শ টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং আহাদ সদরের আমিনুর রহমান কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
গত ৪ আগস্ট মহম্মদপুর সদরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সুমন ও আহাদ বিশ্বাস নিহতের ঘটনায় মামলার ৫৭ দিন পর লাশ ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। সোমবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কবর থেকে লাশ উত্তোলন করতে আসেন।
এ ঘটনায় আহাদের বাবা মো. ইউনুছ বিশ্বাস বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং সুমনের বাবা মো. কানু শেখ বাদী হয়ে ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মহম্মদপুর থানায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের সুমন শেখ ও আহাদ বিশ্বাসের লাশ উত্তোলনে যান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ। সুমনের লাশ উত্তোলনে আপত্তি জানায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা। অপরদিকে সদর ইউনিয়নের বিশ্বাসপাড়া এলাকার আহাদ বিশ্বাসের লাশ উত্তোলন করেন।
সুমনের বাবা মো. কানু শেখ বলেন, আমার ছেলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে নিহত হয়েছে। আমি তার লাশ কবর থেকে তুলতে চাই না। এতে তার ছেলের লাশের অমর্যাদা হবে বলে তিনি জানান।
দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করতে এসেছি। আহাদের লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হলেও সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বাবার বাধায় দেওয়ায় লাশ উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।