চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেল শিশু, যেভাবে পেল পরিবারের সন্ধান
বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় লোকমানপুর স্টেশনের অদূরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেল আজমির (১২) নামের এক শিশু। শনিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটলেও রোববার স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুটির পরিবারের সন্ধান মিলেছে।
আজমির নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাদিনগর গ্রামের জানে আলমের নাতি।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সোয়া ৩টার দিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস আন্ত:নগর ট্রেন থেকে লোকমানপুর রেলস্টেশনের পশ্চিমদিকে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের কৃষ্ণা কৃষি খামার এলাকায় পড়ে যায় শিশুটি। রেললাইনের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সে সময় ঠিকানা জানতে চাইলে তার বাসা ঢাকার মৌচাক এলাকায় বুজগার্ডেনে এবং তার পিতার নাম রাজু, মায়ের নাম জান্নাত বলে জানিয়েছিল শিশুটি।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধারকারীদের মধ্যে স্থানীয় স্বপন, মিলন ও রিপনসহ কয়েকজন যুবক শিশুটি পরিবারের সন্ধান শুরু করেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঢাকায় তাদের আত্মীয়দের খোঁজ পেলে তারা নোয়াখালীতে শিশুটির নানা জানে আলমকে খবর দেন। পরে রোববার দুপুরের দিকে জানে আলম বাগাতিপাড়ায় আসেন।
শিশুটির নানা জানে আলম জানান, আড়াই মাস বয়সে আজমিরের বাবা-মায়ের মধ্যে ডিভোর্স হয়। এরপর থেকে সে নানা জানে আলমের কাছেই বড় হয়। সেখানে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে আজমির। তবে মাঝে মধ্যে সে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। এবারো ১৮-২০ দিন পূর্বে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। অবশেষে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে বাগাতিপাড়া হাসপাতালে তার খোঁজ পান।
আহত আজমির জানায়, ট্রেনে যাওয়ার সময় হঠাৎই সে ট্রেন থেকে পড়ে যায়। উদ্ধারকারী যুবক স্বপন ও মিলন জানান, শিশুটির পরিবারের সন্ধান পাওয়ায় তারা বেশ খুশি। তবে এরকম মানবিক কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে আহবান জানান।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক জানান, গুরুতর আহতাবস্থায় ভর্তির পর থেকে শিশুটিকে চিকিৎসাসহ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজনের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে আরও দিন দুয়েক পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাকে ছাড় করা হতে পারে।