
প্রিন্ট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৪ এএম

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ পিএম

আরও পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছেলে জুয়েল রানাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে তার পরিবার। আন্দোলনের শেষ দিনে গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শহিদ হন তিনি।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের শাখাহাতী গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান জুয়েল রানা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। পেশায় ছিলেন গার্মেন্টকর্মী। তার উপার্জনেই চলত দরিদ্র কৃষক পরিবারটি। মা, বাবা, স্ত্রী এবং অবুঝ দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ছিল তাদের সংসার।
পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার অংশগ্রহণ ছিল প্রশংসনীয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন চির প্রতিবাদী যুবক জুয়েল। আন্দোলনের শেষ দিনে হাসিনা সরকারের পতনের খবরে আনন্দ মিছিল করতে গিয়ে গাজীপুরে আনসার একাডেমির সামনে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সেই সময় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বন্ধুরা। হাসপাতালগুলোতে আহতদের অনেক ভিড় থাকায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এক সময় নিজে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছেন অনেক মানুষের জীবন; কিন্তু সেই রক্তের অভাবেই তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের উপার্জনক্ষম পুত্রকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা-মা। নিহত জুয়েলের বিষয়ে জানতে চাইলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা।
কৃষক পিতাও অনেকটাই বাকরুদ্ধ। তিনি প্রতিদিনই ছেলের কবরে যান এবং ছেলের কবরের পরিচর্যা করেন। তবে তিনি ছেলে হত্যার উপযুক্ত বিচার চান ।
সচেতন এলাকাবাসীর দাবি জুয়েলকে আর কখনো ফিরে পাবে না তার বাবা-মা। তবে এ হত্যার উপযুক্ত বিচার ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক- এটাই সবার প্রত্যাশা।