Logo
Logo
×

সারাদেশ

ছেলের সঙ্গে স্কুলে গিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে পরকীয়া-বিয়ে, অতঃপর...

Icon

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ পিএম

ছেলের সঙ্গে স্কুলে গিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে পরকীয়া-বিয়ে, অতঃপর...

চরফ্যাশনে ছেলের স্কুলে গিয়ে ২ সন্তানের জননীর (৩২) সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে মিজান মাস্টার নামে এক শিক্ষকের। পরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর সটকে পড়েন ওই স্কুলশিক্ষক।

এদিকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে কাবিননামা হাতে নিয়ে ওই শিক্ষকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন গৃহবধূ। তবে তাকে মারধর করেছেন ওই স্কুলশিক্ষকের স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ড ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্কুলশিক্ষক মিজান ওই বাড়ির মৃত সোবহান ডাক্তারের ছেলে। তিনি এক মেয়ে সন্তানের জনক এবং উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলে জানা গেছে।

অনশন করা ২ সন্তানের জননী গৃহবধূ একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, ২ সন্তানের জননী স্ত্রীর দাবিতে স্কুলশিক্ষক মিজানের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

অনশন করা ২ সন্তানের জননী বলেন, আমার ছেলে হাইস্কুলে পড়াশোনা করার সুবাদে আমি স্কুলে আসা-যাওয়া করতাম। স্কুলশিক্ষক মিজানের সঙ্গে আমার প্রায়ই কথা হতো। তিনি আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন মিজান। পরে ২০২৩ সালের ২০ মার্চ উত্তর আইচা বাজারে কাজি অফিসে ১০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করে বিভিন্ন সময় দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হন স্কুলশিক্ষক মিজান। বিয়ে করে আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় শনিবার বিকালে স্বীকৃতির দাবিতে মিজানের বাড়িতে উঠলে তার স্ত্রী আমাকে মারধর করেন।

তিনি আরও বলেন, আমাকে কোটি টাকা দিলেও আমি স্বামীর দাবি ছাড়ব না। আমরা বিয়ে করেছি। আমি স্ত্রীর দাবিতে অনড়। ইতোমধ্যে আমাকে টাকার লোভ দেখিয়ে বিষয়টি রফাদফা করার কথা বলা হয়েছে। আমি স্বামীর ঘর করব। বিচার না পেলে থানায় মামলা দায়ের করব। এ ঘটনায় সুষ্ঠু সমাধানের আশাবাদী রয়েছেন এলাকাবাসী।

মিজানের স্ত্রী তাকে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামী কোথায় আছে আমি জানি না।

বিষয়টি নিয়ে স্কুলশিক্ষক মিজানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি।

দক্ষিণ আইচা থানার ওসি সাঈদ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি, আমি খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম