শিবালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে অক্সফোর্ড স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক এম এ মতিন খানের বিরুদ্ধে অর্থ ও সম্পত্তি আত্মসাৎ, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, শিক্ষকদের সন্মানি ও উৎসব ভাতা না দেওয়াসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অক্সফোর্ড স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মতিনের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় গঠন করা হয়েছে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি। রোববার তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কাজ শুরু করবেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) লিখিত অভিযোগ করছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নেওয়া বিবিধ খাতের ৫০০ টাকা করে মোট ৫ লাখ ও উন্নয়নের নামে ৩০০ টাকা করে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৭ লক্ষাধিক টাকা নেওয়া হয়। যা স্কুলের তহবিলে জমা হয়নি। স্কুল ফান্ড থেকে ঠিকমতো সম্মানি ও উৎসব ভাতা দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি শিক্ষকদের।
এর পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে ১৯ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করেন প্রধান শিক্ষক মতিন। যে কারণে বিদ্যালয়ের তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি বহিস্কার করেন তাকে। বিদ্যালয় সংলগ্ন উত্তর পাশে ৩২ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি লিজ নিয়ে স্কুল ভোগ দখল করতো। সুকৌশলে সে জায়গাটিও নিজের দখলে নিয়েছেন। স্কুলের দক্ষিণ পাশে ১১ শতাংশ স্কুলের জায়গা সরকারি টাকায় ভরাট করে তা বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন রেখা রাণী দত্ত। নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে তাকে স্কুল থেকে বাদ দিয়ে বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন প্রধান শিক্ষক মতিন। ফলে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানান ওই শিক্ষক।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ মতিন বলেন, বিবিধ খাতে যে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে তা স্কুলের ফান্ডে জমা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র স্কুল ও তার সুনামকে বিনষ্ট করতে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে আবার অভিযোগ করা হয়েছে, যার কোনোটিরই ভিত্তি নেই।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সে বিষয়ে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি।