Logo
Logo
×

সারাদেশ

নাতির ইটের আঘাতে দাদার মৃত্যু

Icon

মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ এএম

নাতির ইটের আঘাতে দাদার মৃত্যু

নওগাঁর মহাদেবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাতির ইটের আঘাতে দাদা মকবুল হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকালে উপজেলার বলরামপুর গ্রামে।

নিহত মকবুল হোসেন (৬২) খাজুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে। তিনি পেশায় অটোচার্জার ভ্যানচালক ছিলেন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির মা মমতাজ বেগম ও তার সৎ পিতা নুরনবীকে পুলিশ আটক করেছে।

এ ঘটনায় নিহত মকবুল হোসেনের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে মেহেদী হাসান (১২), তার মা মমতাজ বেগম (৩৫) ও সৎ পিতা মো. নুরনবীকে আসামি করে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। নুরনবী একই গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দীনের ছেলে।

নিহত মকবুলের ছোট স্ত্রী চানবানু বলেন, প্রায় বছর তিনেক আগে তার ভাগ্নে নুরনবী আগের পক্ষের সন্তানসহ মমতাজ বেগমকে ২য় বিয়ে করে। ঘটনার দিন নুরনবীর সৎ ছেলে মেহেদী হাসান তার ঘরে ঢিল ছুড়তে থাকলে সে তার মা মমতাজ বেগমকে বিষয়টি জানায়। এতে তার ভাগ্নে বউ মমতাজ বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক সময় স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে স্বামী নুরনবীও লাঠি দিয়ে তার খালা চানবানুকে মারপিট করতে থাকে।

এ সময় মমতাজ বেগমও চানবানুর চুলের মুঠি ধরে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। স্ত্রী চানবানুকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে খালু মকবুল হোসেনের উপরও চড়াও হন নুরনবী ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম। এ সময় শিশু মেহেদী হাসান একটি আদলা ইটের টুকরো তুলে দাদা মকবুল হোসেনের মাথায় আঘাত করলে তিনি মারাত্মক আহত হয়ে সেখানেই তিনি লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয়রা নুরনবীকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে মকবুল হোসেনকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মহাদেবপুর থানার ওসি মো. হাশমত আলী জানান, এ ব্যাপারে নিহতের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। মরদেহ ময়নতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম