রাজশাহীতে গৃহকর্মী শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ এএম
রাজশাহীতে এক গৃহকর্মী শিশুকে (১০) নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর এলাকার লোকজন আহত গৃহকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। আর অভিযুক্ত নারীকে আটকের পর তারা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে থানায় উভয়পক্ষের আপোষ-মীমাংসা চলছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের বউবাজার টিকাপাড়া এলাকার এক বাড়িতে ওই গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
বাড়ির মালিকের নাম ড. শামীম আখতার। তিনি গাজীপুর ফল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।তার স্ত্রী সেতু খাতুনের বিরুদ্ধে ওই গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ।
ভুক্তভোগী শিশুটি গত তিনমাস ধরে গৃহকর্মী হিসেবে শামীম আখতারের বাসায় থাকত। তার বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বগলাগাড়ি হাজিপাড়া গ্রামে। ঘটনার পর শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
ড. শামীম আখতারের প্রতিবেশীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে বাসার বাইরে যায় ওই শিশুটি। এ সময় সেতু খাতুন মেয়েটিকে খুঁজতে থাকেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর বাড়ির পাশেই শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যায়। সেতু তাকে বাসায় নিয়ে যান। এরপর বাসায় বাইরে যাওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি রুটি তৈরির বেলুন দিয়ে মারধর শুরু করেন। এতে শিশুটি হাত, পা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আর সেতুকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে সেতুকে আটক করে বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সেতু থানায় পুলিশের হেফাজতেই ছিলেন। শুক্রবার গ্রামে খবর পাঠিয়ে ওই শিশুর বাবা-মাকেও ডেকে আনা হয়। সন্ধ্যায় থানায় উভয়পক্ষের আলোচনা চলছিল।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গাজীপুর ফল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামীম আখতারকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, শিশুটির বাবা-মা মামলা করতে চান না। তারা তাদের মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে চান। আলোচনা চলছে। এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।