তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ, ৫ দিন পর মিলল লাশ
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
গাজীপুরের কালীগঞ্জে তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হন শাকিরিন আক্তার (২০)। পাঁচ দিন পর ধানখেত থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নারগানা দক্ষিণপাড়া এলাকায়।
নিহত শাকিরিন আক্তার হারুন শেখের মেয়ে। তিনি এক সন্তানের জননী। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকালে লাশ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জানতে পারলাম সে তার তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্বামীর সঙ্গে বেড়ানোর কথা বলে ২২ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকে সে নিখোঁজ। এ বিষয়ে শাকিরিনের বাবা হারুন শেখ বাদী হয়ে বুধবার রাতে কালীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির এক দিন পর বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহত ওই নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৫ বছর পূর্বে শাকিরিন প্রেম করে মুন্সীগঞ্জ এলাকার সানি নামের এক যুবককে বিয়ে করেন। তাদের সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এদিকে তিনি প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে পুনরায় প্রেম করে সিলেটের এক যুবককে বিয়ে করেন। সেখানেও সে সংসার করতে পারেনি। দ্বিতীয় স্বামীকেও ডিভোর্স দিয়ে ২ মাস আগে চলে আসেন বাবার বাড়িতে। পরে বাবার বাড়ি থাকা অবস্থায় পুনরায় তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে প্রেমের সখ্য গড়ে উঠে। তালকপ্রাপ্ত প্রথম স্বামীর ফাঁদে পড়ে ঘুরতে গিয়ে জীবন দিতে হলো তাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার নারগানা এলাকার বিরেন্দ্র চন্দ্র পালের ধানখেত থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। পরে স্থানীয় লোকজন খোঁজাখুঁজি করে বিরেন্দ্রর ধানখেতে গিয়ে দেখে একটি অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে শাকিরিনের মা-বাবাসহ আত্মীয়স্বজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া তার মেয়ে শাকিরিনের লাশ বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ থানার এসআই মিঠুন বৌদ্ধ জানান, অর্ধগলিত থাকায় লাশের শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।