রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, ভিডিও ভাইরালের হুমকি
কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পিএম
কুমিল্লার বরুড়ায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। মাদ্রাসা থেকে ভাগ্নি ও ভাতিজিকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই গৃহবধূকে (২২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে বরুড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে থানার ওসি কাজী নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে বরুড়া উপজেলার আড্ডা বাজারের উত্তর পাশে মালেক মাস্টার বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার আড্ডা এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে মো. মানিক (৩৩), দুলাল মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (২৮) এবং বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. বাপ্পি (২৫)। পুলিশ রুবেল নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি ওড্ডা গ্রাম থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন কয়েক দিন আগে। ওই গৃহবধূ বাবার বাড়ি থাকার সুবাদে আড্ডা এলাকায় অবস্থিত আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসায় পড়ুয়া তার ভাইয়ের মেয়ে ও বোনের মেয়েকে মাদ্রাসায় দিয়ে যেতেন আবার বাড়ি নিয়ে যেতেন।
মঙ্গলবার দুপুরে শিশু দুটিকে নিয়ে মাদ্রাসা থেকে ফিরছিলেন তিনি। এ সময় আড্ডা বাজারের উত্তর পাশে মালেক মাস্টার বাড়ির পাশে সড়কে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। তার দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত তিন বখাটে এসে ওই নারীকে তার নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি সব বলে দেন। পরে তার সঙ্গে থাকা শিশু দুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে দূরে সরিয়ে নেন বখাটেদের একজন। এ সময় অপর দুইজন ওই নারীর মুখ চাপা দিয়ে জোর করে পাশের একটি নলকূপের ঘরে নিয়ে যান।
পরে শিশু দুটিকে সড়কের পাশে একটি জনমানবহীন ভবনের সিঁড়িতে চকলেট দিয়ে বসিয়ে রেখে ওই তিন বখাটে ভুক্তভোগী ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ সময় ধর্ষণকারীরা তাদের মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে ঘটনার কথা কাউকে বললে ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন। বুধবার বিকালে বরুড়া থানায় ওই নারী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
বরুড়া থানার ওসি কাজী নাজমুল হক বলেন, এ ঘটনায় গণধর্ষণের মামলা হয়েছে। রুবেল নামের এক আসামিকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আসামিদের গ্রেফতার করতেই বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে।