স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালের মারধরের শিকার নারী রোগী
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বপন নামে এক দালালের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন দুই নারী রোগী।
গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের মহিলা ইউনিটে এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন মারধরের শিকার রোগীরা।
মারধরের শিকার রোগীরা হলেন- ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাহাপুর গ্রামের শাহিনা বেগম এবং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের রওশনারা বেগম।
ভুক্তভোগী শাহিনা বেগম বলেন, আমার স্যালাইন শেষ হয়ে গেলে কর্তব্যরত নার্স সালেহা বেগমের কাছে যাই। ওই সময়ে কোনো একটা বিষয় নিয়ে নার্সের সঙ্গে স্বপনকে বাজে ব্যবহার করতে দেখি। আমি নার্সকে কিছু না বলেই আমার বেডে ফিরে আসতে যাচ্ছিলাম। এ সময় আমি মুখ ফসকে বলে ফেলি ‘এটা মানুষের আচরণের মধ্যে পড়ে না’। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মহিলা ইউনিটে ঢুকে একাধিকবার আমাকে এলোপাতাড়ি চড় থাপ্পড় দেয়। এ সময় আমার ভাই-ভাবিসহ পাশের রোগীরা এগিয়ে এলে তারাও মারধরের শিকার হন।
পাশের বেডের রোগী রওশনারা বলেন, শাহিনাকে মারধর শুরু করলে আমি তাকে আগলে রাখতে গেলে আমি স্বপনের এলোপাতাড়ি মারধরে শিকার হই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, স্বপন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বপনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আপনারা যেমন শুনেছেন পুরোপুরি তেমন না; যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি আমাদের পরিবারের সাবেক সদস্য। ঘটনার বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে।
নার্স ইনচার্জ ফারজানা আক্তার বলেন, রোগীকে মারধরের ঘটনাটি সত্য। স্বপন প্রায়ই বিভিন্ন রোগীর পক্ষ হয়ে হাসপাতালে এসে নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমরা প্রতিনিয়তই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছি। বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মহোদয়কে জানিয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, এ বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছি। বিস্তারিত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।