Logo
Logo
×

সারাদেশ

অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না গুলিবিদ্ধ আকবর

Icon

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম

অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না গুলিবিদ্ধ আকবর

অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন। 

গত ৪ আগস্ট কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বিপরীত দিক থেকে ছোড়া গুলিতে তিনি বুক, হাত, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলিতে বিদ্ধ হন। 

ওই সময়ে আহত অবস্থায় তাকে সিলেট সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলা হলেও অর্থাভাবে তিনি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন। গত এক মাস ধরে গুলির ক্ষত নিয়ে বাড়িতে বিছানায় পড়ে থাকলেও, ছেলের চিকিৎসা না করাতে পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তার পঙ্গু বাবা।

আকবর হোসেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের দিনমজুর প্রতিবন্ধি রওশন আলী ও ফেরদৌসী বেগম দম্পতির ছেলে। 

গুলিবিদ্ধ আকবর বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৭ জুলাই থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিলাম। প্রথমদিকে হালকা আঘাতের শিকার হলেও ৪ আগস্ট পুলিশের ছররা গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছি। তখন আমাকে প্রথমে সিলেট সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলা হলেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। 

আকবর হোসেনের বাবা রওশন আলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার ছেলে বুক, হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পুরো শরীরে রয়েছে ছররা গুলির ক্ষত-বিক্ষতের চিহ্ন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছেলের কোনোমতে চিকিৎসা করালেও পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে পারিনি। অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সিংহভাগ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় বহন করলেও আমার বেলায় তা জোটেনি।

আকবর হোসেনের মা ফেরদৌসী বেগম জানান, পেশায় তিনি গৃহিণী। তার ছেলে মেধাবী। এখন অভাব অনটনের মধ্যে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। 

তিনি বলেন, নিজ সন্তানের শরীর থেকে ছররা গুলির ছোট ছোট কার্তুজ উঠিয়েছি। সেই গুলিগুলো আমার কাছেই রয়েছে। ছেলের সুস্থতা ও ভবিষ্যত উজ্জল হোক- এটাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে কামনা করি। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম