Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রথম চালানে তিন ট্রাক ইলিশ গেল ভারতে

Icon

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম

প্রথম চালানে তিন ট্রাক ইলিশ গেল ভারতে

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে করে ১২ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। ভারতের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিত ইলিশের প্রথম চালান রপ্তানি হয়েছে ভারতে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১২ টন ইলিশের এ চালান ভারতে রপ্তানি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ার পর ইলিশের ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে গিয়ে পৌঁছেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল মৎস্য কর্মকর্তা। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা। ভারতের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ৪৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ২ হাজার ৪শ টন ও একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে।

ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আর জে এন্টারপ্রাইজ ও আর এস এন্টারপ্রাইজ, কলকাতা। বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, জেএস এন্টারপ্রাইজ ও সোমা এন্টারপ্রাইজ।

বেনাপোল বন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ৪৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। রপ্তানি করা ইলিশের গুণগতমান পরীক্ষা করে ১২ মেট্রিক টন ইলিশের ছাড়পত্র প্রদানের পর ইলিশের চালানগুলো গতকাল ভারতে রপ্তানি হয়েছে।

ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আরিফ সি ফুডস, জারা এন্টারপ্রাইজ, সততা ফিস ফিড, এসএআর এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, রূপালী সি ফুডস লিমিটেড, লাকি এন্টারপ্রাইজ, টাইগার ট্রেডিং, রিপা এন্টারপ্রাইজ, জেবিএস ফুড প্রোডাক্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, মহিমা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং কোম্পানি লিমিটেড, রহমান ইমপেক্স, আসিফ ইমপেক্স, নোমান এন্টারপ্রাইজ, যমুনা অ্যাগ্রো ফিশারিজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সততা ফিশ, প্যাসিফিক সি ফুডস লিমিটেড, জেজে ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল, বিশ্বাস ইন্টারন্যাশনাল, ক্যাপিটাল এক্সপোর্ট ইমপোর্ট অ্যান্ড কোম্পানি, অর্পিতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সুমন ট্রেডার্স, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, সততা ফিশ, আঁচল এন্টারপ্রাইজ, ২ এইচ ইন্টারন্যাশনাল, এমএপি ইন্টারন্যাশনাল, সরদার এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট, ইউভা ট্রেডিং, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল, আসফা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, স্ট্যান্ডার্ড ফুড করপোরেশন, জেএস এন্টারপ্রাইজ, পদ্মা অ্যাগ্রো ফিশারিজ, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, মেসার্স আহনাফ ট্রেডিং, নাফিজা এন্টারপ্রাইজ, ডিপ সি ফিশারিজ লিমিটেড, মাসুদ ফিশ প্রসেসিং, আরকে ট্রেডার্স, বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ ও লোকজ ফ্যাশন। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লোকজ ফ্যাশন ২০ টন, আর বাকি সব প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে।

এদিকে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদনের বিপরীতে আটটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- অনুমতির মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। যেসব শর্ত দিয়ে প্রতি বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়- এবারও সেগুলোই রাখা হয়েছে।

শর্তগুলো হচ্ছে- বিদ্যমান রপ্তানি নীতির বিধিবিধান মানা, শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইলিশের কায়িক পরীক্ষা করানো এবং প্রতিটি চালান (কনসাইনমেন্ট) শেষে রপ্তানিসংক্রান্ত কাগজপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা। এছাড়া অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি না করা, অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তর না করা এবং অনুমোদিত রপ্তানিকারক ছাড়া ঠিকায় রপ্তানি না করার শর্তও থাকছে।

রপ্তানিকৃত ট্রাকের ড্রাইভার জনি হোসেন জানান, চাঁদপুর থেকে চার মেট্রিক টন ইলিশ নিয়ে আসছেন তিনি। কাগজপত্র যাচাই শেষে বেনাপোল কাস্টমস তাকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিসারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানির জন্য অনুমতিপত্র প্রদান করেছি।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজিব জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। পর্যায়ক্রমের ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হবে। ইলিশের চালানগুলো বন্দরে প্রবেশের পর দ্রুত রপ্তানির জন্য বন্দরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম