অবরোধ শেষে চার দিন পর যার যার গন্তব্যে ফিরছেন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন এলাকা সাজেকে আটকেপড়া পর্যটকরা। তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌ-পথ অবরোধের ফলে সেখানে ঘুরতে যাওয়া প্রায় দেড় হাজার পর্যটক ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আটকা পড়েন।

সোমবার সন্ধ্যায় অবরোধ শেষ হলে মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সাজেক থেকে নিরাপদে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে আটকে থাকা পর্যটকবাহী গাড়িবহর।

এদিকে সম্ভাব্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিন সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাজেকে আটকেপড়া পর্যটকরা যার যার গন্তব্যে ফিরছেন। সোমবার সন্ধ্যায় অবরোধ শেষ হওয়ায় তারা মঙ্গলবার সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় নিরাপদে সাজেক ছেড়েছেন। 

সাজেক কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ জানান, মঙ্গলবার সকালে সাজেকে অবস্থান করা পর্যটক সবাইকে নিয়ে গাড়ি ছেড়ে গেছে। বর্তমানে সেখানে কোনো পর্যটক নেই।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোতাছেন বিল্যাহ বলেন, ওই এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পুরোপুরি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষে সবার প্রতি বুধবার হতে শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিন সাজেক ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর হামলা, ভাংচুর এবং পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ অফিসসহ বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এদিন সন্ধ্যা থেকে তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক ও নৌ-পথে তিন দিনের অবরোধ ডাকে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা। এতে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় সাজেকে অন্তত ১৩ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েন বলে জানান পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে অবরোধ শেষ হওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে চলেছে রাঙামাটিসহ পাহাড়ের পরিস্থিতি। সাধারণ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্তরা। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লায় সড়ক ও নৌ-পথে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।