Logo
Logo
×

সারাদেশ

নড়াইলের বাসিন্দা, ‘গোপালগঞ্জের ঠিকানায়’ চাকরি

Icon

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম

নড়াইলের বাসিন্দা, ‘গোপালগঞ্জের ঠিকানায়’ চাকরি

নড়াইলের বাসিন্দা হয়েও গোপালগঞ্জের ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. ইব্রাহিম শেখ (৩৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। 

ইব্রাহিম নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের দাসেরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। সে ওই গ্রামের নুর ইসলাম শেখের ছেলে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে চালক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ইব্রাহিম শেখ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা সদরের ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ওই পদে নিয়োগ পান। ২০১৯ সালের ৬ জুন ঢাকার দোহারে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে যোগদান করেন তিনি। ইব্রাহিমের চাকরির আবেদনে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা সদরের ঠিকানা।

সরেজমিন খোঁজ করে ইব্রাহিম নামে ওই যুবককে পাওয়া যায়নি। কাশিয়ানী উপজেলা সার্ভার স্টেশনে গিয়েও কোনো সত্যতা মেলেনি। 

কাশিয়ানী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাসানুর রহমান হাসু জানান, ওই নামে কাশিয়ানী সদরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কেউ নেই। এ নামে তিনি কাউকে চিনেন না। 

তবে লোহাগড়া উপজেলার ওই গ্রামে গিয়ে ইব্রাহিমের মা-বাবাকে খোঁজে পাওয়া যায়। তবে এ বিষয় কোনো কিছু বলতে রাজি হননি তারা। 

এদিকে ঠিকানা জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হলে ইব্রাহিম শেখ গত ১৩ জুন ৭ দিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল থেকে লাপাত্তা হয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। 

ঢাকার দোহার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. তামিম হাওলাদার লাপাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইব্রাহিম এক সপ্তাহ ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে ফেরেনি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজে না ফেরায় তার বিরুদ্ধে প্রধান কার্যালয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। 

এ বিষয় বক্তব্য নেওয়ার জন্য ইব্রাহিম শেখের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ইব্রাহিমের বর্তমান কর্মস্থল ঢাকার দোহার স্টেশন থেকে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে বিভাগীয় মামলা দেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম