চট্টগ্রামে ছয় ব্যবসায়ীর ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
চট্টগ্রামে রিয়াজউদ্দিন বাজারের ছয় ব্যবসায়ীর প্রায় ১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে একই বাজারের ব্যবসায়ী অলিদ হোসেন ও তার ভাই আবদুল আউয়ালের বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত না দিয়ে অলিদ হোসেন পালিয়ে গেছেন নেপালে।
অন্যদিকে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে উল্টো চাঁদাবাজি মামলা করেছেন অলিদ হোসেনের ভাই আবদুল আউয়াল।
রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক আজম।
এ সময় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মিউনিসিপ্যাল হকার মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম, মিজানুর রহমান, মো. আলমগীর, মো. শহিদুল ইসলাম ও আরাফাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফারুক আজম বলেন, রিয়াজউদ্দিন বাজারের প্রফেসর মার্কেটে এ রহমান এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক অলিদ হোসেন ও তার ভাই আবদুল আউয়াল। তারা বিভিন্ন আমদানিকারক থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করে পুনরায় তা বিক্রি করেন। ব্যবসার নামে তারা আমাদের কাছ থেকে ২০২৩ সালে বিভিন্ন দফায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা নেন।
তিনি বলেন, টাকা নেওয়ার পর অলিদ হোসেন আমাদের চেক প্রদান করেন এবং তার সঙ্গে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি হয়। স্ট্যাম্প অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে মূল টাকাসহ লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ছিল; কিন্তু নির্ধারিত তারিখে টাকা দেওয়ার আগে অলিদ হোসেন দেশ থেকে পালিয়ে নেপাল চলে যায়। আমরা তার ভাই আবদুল আউয়াল থেকে টাকা চাইলে উল্টো আমাদের নানা হুমকি দেয়।
ফারুক আজম বলেন, বিষয়টি তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাছে অভিযোগ দিলে ৩ আগস্ট উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে সমিতি। বৈঠকে অলিদ হোসেন অনুপস্থিত থাকলেও তার দুই ভাই, বাবা ও আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবসায়ীদের টাকা বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। না হলে টাকা পরিশোধের আগপর্যন্ত অলিদ হোসেনের দোকান বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত না দিয়ে দোকান খোলেন আবদুল আউয়াল। এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে আমাদের হয়রানি করতে আবদুল আউয়াল বাদী হয়ে আমাদের ছয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে উল্টো আদালতে একটি ভুয়া চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের হয়রানির চেষ্টা করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল আউয়াল যুগান্তরকে বলেন, অলিদ হোসেন আমার ছোট ভাই। তার সঙ্গে যারা লেনদেন করেছেন এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ব্যবসায়ী সমিতিতে অভিযোগ দেওয়ার পর আমাকে এক সপ্তাহ দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। আমি তাদের কথামতো দোকান বন্ধ রাখি; কিন্তু দোকানের পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দোকান খুললে তারা (পাওনাদার) এসে দোকান বন্ধ করে দেয় এবং চাঁদা দাবি করে। এ কারণে আমি আদালতে মামলা করেছি।