হতভাগা মায়ের আর্তি
‘আমার সন্তানের সন্ধান দাও’
যুগান্তর প্রতিবেদন, দোহার-নবাবগঞ্জ ঢাকা
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
একজন মায়ের করুণ আর্তনাদ- ‘আমার নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান দাও। আমি ওকে ছাড়া বাঁচব না। যেখান থেকে পারো আমার বুকের ধনকে আমার কাছে এনে দাও।’ এই বিলাপ করতে করতে বুক চাপড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিখোঁজ তানভীরের মা তাছলিমা বেগম।
ঢাকার দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের আন্তা গ্রামের মনোয়ার খান ও তাছলিমা বেগম দম্পতির ছেলে তানভীরকে না পেয়ে বিলাপ করছেন তাছলিমা বেগম।
তানভীরের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জে কাজে যাওয়ার সময় তানভীর খান (২০) নামে এক যুবক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজ তানভীর মানিকগঞ্জ জেলার মানিকগঞ্জ উপজেলার দেড়গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে আকিজ কোম্পানির টেক্সটাইল মিলে প্রায় দেড় বছর ধরে কাজ করত। তানভীর সাইকেলে করে বাসা থেকে কাজে যাওয়া আসা করত। কোনো সময় দিনে এবং কোনো সময় রাতে ডিউটি পড়ত তার। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে বাসা থেকে ডিউটিতে যাওয়ার সময় পুলিশ ক্যাম্প নামক জায়গা থেকে নিখোঁজ হয় তানভীর।
তানভীরের মা তাছলিমা বেগম জানান, আমি ছেলের নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেই রাতে সেখানকার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ১৫-১৬ বছর বয়সি এক কিশোর জানায়, হঠাৎ একটি শব্দ পেয়ে সে দৌড়ে রাস্তায় এসে দেখে মোটরসাইকেলের সঙ্গে একটি বাইসাইকেলের অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। মোটরসাইকেলে দুজন ছিল, তাদের কিছু হয়নি কিন্তু সাইকেল চালকের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আমি সাইকেল চালকের কাছে গিয়ে তাকে টেনে তুলে দেখি সে এখনো বেঁচে আছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের দুইজন এসে আমাকে বলল- আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ কথা বলে তাকে ঢাকার দিকে নিয়ে যায়।
তানভীরের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরও জানান, আমি অনেক হাসপাতালে খোঁজ করেছি কোথাও পাইনি। আমি আমার ছেলের সন্ধান চাই। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা।
এ বিষয়ে তানভীরের শ্বশুর নজরুল মানিকগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ জিডি করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু সায়েম চৌধুরী বলেন, আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তাকে উদ্ধারের জন্য। ঢাকা, সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন ক্লিনিক, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত আছে।