Logo
Logo
×

সারাদেশ

‘ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে বিডিআর পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়’

Icon

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ পিএম

‘ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে বিডিআর পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়’

আওয়ামী লীগ সরকার বিডিআর পিলখানায় সেনাবাহিনীর সামর্থ্য ক্ষুণ্ণ করতে এবং বাংলাদেশ রাইফেলসকে ধ্বংস করার জন্য প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে এবং ক্ষমতাকে সৃদৃঢ় করতে নীলনকশার অংশ হিসেবে সুপরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালায় বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকরিচ্যুত সব সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছে ৫ সদস্যদের একটি বিডিআর প্রতিনিধি দল।

এর আগে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। এতে অংশ নেন চাকরিচ্যুত ৪৬ জন বিডিআর সদস্য।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন চাকরিচ্যুত সুবেদার আক্তারুজ্জামান, মো. রমিজ উদ্দিন, সাইদুর রহমান, সুবেদার আরশাদ আলী এবং মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক।

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা তাদের স্মারকলিপিতে অভিযোগ করেছেন, ২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন শাহাদাৎ বরণ করেছেন। ঘটনার পরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নিরীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত করে সারা দেশে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেন ফ্যাসিস্ট সরকার। আজ হাজার হাজার বিডিআর সদস্য মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

চাকরিচ্যুত সুবেদার আক্তারুজ্জামান বলেন, চাকরিচ্যুত সব পদবির বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। হত্যাকাণ্ড মামলার হাইকোর্টের বিচারকদের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পিলখানার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশীলবদের শনাক্তকল্পে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। পিলখানায় হত্যাকাণ্ডে শাহাদৎ বরণকারী ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহিদের মর্যাদা দিতে হবে এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানান তিনি। 

মানিকগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক বলেন, আপনারা জানেন ২০০৯ সালে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। এতে হাজার হাজার বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আমার দাবি পিলখানার ঘটনা পুনঃতদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক। এছাড়া এখনো যেসব বিডিআর সদস্যরা জেলখানায় সাজা ভোগ করছেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক এবং চাকরিচ্যুত সব বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার দাবি করেন তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম