অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ গুলিবিদ্ধ মহুবর ও জরিফুলের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
ছাত্র আন্দোলন ও ইনসেটে গুলিবিদ্ধ জরিফুল
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত রিকশাচালক মহুবরের অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। শনিবার পর্যন্ত সমাজসেবা অফিস থেকে মাত্র ৫ হাজার টাকা ছাড়া তার আর কোনো সাহায্য মেলেনি। মহুবর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব বিছনদই গ্রামের বাসিন্দা।
একই উপজেলার হাতীবান্ধার বড়খাতা এলাকার গুলিবিদ্ধ জরিফুল ইসলামও আয়-রোজগার করতে না পেরে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন।
জানা গেছে, মহুবর ঢাকায় রিকশা চালাতেন। আর জরিফুল ইসলাম ঢাকার সাভারে মুরগির মাংস বিক্রি করে পরিবারের লোকজনের অন্ন জোগাতেন। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে ২১ জুলাই বিকালে যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হন রিকশাচালক মহুবর। এর আগে ১৮ জুলাই সাভারে গুলিবিদ্ধ হন জরিফুল ইসলাম।
মহুবার বলেন, ২১ জুলাই বিকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। মিছিলের সামনে থাকা প্রায় সবাই গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় আমার ডান হাত ও পা এবং বুকে গুলি লাগে। পরে জ্ঞান ফিরে দেখি আমাকে রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু টাকা না থাকায় কিছুদিন পর সেখান থেকে ফিরে বাড়িতে আসি।
মহুবারের স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, প্রতিদিন অনেক টাকার ওষুধ লাগে। টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন বাড়িতে চিকিৎসা অভাবে পরে আছে।
গুলিবিদ্ধ জরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতাকে পানি দিতে গিয়ে তার বাঁ পায়ে দুইবার গুলি লাগে। সেখাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি। বর্তমানে দিনে ৮-৯ শত টাকার ওষুধ লাগে। উপজেলা সমাজ সেবা অফিস থেকে ৫ হাজার, জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার টাকা তিনি পেয়েছেন। টাকার অভাবে এখন তার ঘরে স্ত্রী ও ছোট দুটি সন্তানের খাবারই জুটছে না।