অটোতে বাড়ি ফেরার সময় কলেজছাত্রীকে চালক-সহযোগীদের ধর্ষণ
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পিএম
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার সময় কলেজছাত্রীকে চালক ও সহযোগীরা গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা অটোরিকশাচালক ও তার সহযোগীকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। পুলিশ অভিযুক্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী বরিশালের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। বুধবার রাতে তিনি বরিশাল থেকে বিভিন্ন বাহনে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে অটোরিকশায় বাড়িতে যাওয়ার পথে তিনি ধর্ষণের শিকার হন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ছাত্রীটি বরিশাল থেকে কিশোরগঞ্জে বাড়িতে আসার জন্য গত বুধবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকার বাসে ওঠেন। রাত ৯টার দিকে বাস ঢাকার সায়েদাবাস বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছায়। এরপর সোয়া ৯টায় সায়েদাবাদ থেকে ভৈরবের বাসে ওঠেন এবং পৌঁছান রাত ১২টায়। পরে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জে যাওয়ার বাস না থাকায় তিনি একটি অটোরিকশায় ওঠেন। সেটিতে তিন পুরুষ ও এক নারী যাত্রী ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর চালক ফোন দিয়ে তার এক সহযোগীকে গাড়িতে তুলে নেন।
এজাহারে বলা হয়- দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে বাদী ক্লান্ত থাকায় একপর্যায়ে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। এর মধ্যে গাড়ির অন্য যাত্রীরা নেমে যান। ঘুম থেকে উঠে বাদী দেখেন, গাড়িতে তিনি এবং চালক ও সহযোগী। এরপর কুলিয়ারচরের কলাকুপার চম্পাকান্দা এলাকায় তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে একটি বাঁশঝাড়ের কাছে নিয়ে দুজন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেয়।
নিরুপায় হয়ে গভীর রাতে তিনি একাই হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন একজনের সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পরে বুঝতে পারি আমাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে আরেক সহযোগীকে ফোন করে এনেছিলেন অটোচালক। অনেক কান্নাকাটি করেও দুজনের মন গলাতে পারিনি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্তদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। নানা প্রক্রিয়ায় তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।