পীরগাছায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ৩৮ ডিলারের অভিযোগ
পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
ম্যাপ
রংপুরের পীরগাছায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৮ জন ডিলার অভিযোগ করেছেন।
ডিলাররা যাতে খাদ্য অফিসে টাকা জমা দেওয়ার চালানের কপি ও অঙ্গীকারনামা নিতে না পারেন সেজন্য বিএনপি নেতারা অফিস সময়ে খাদ্য অফিস পাহারা দিচ্ছেন। এমন অভিযোগ তুলে ডিলাররা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির খাদ্য যৌথবাহিনীর দ্বারা স্ব স্ব ইউনিয়নে নিরাপদে পৌঁছানোর দাবি করে ইউএনও বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- বিএনপি নেতা আলম মিয়া, মশিয়ার রহমান, নুরুজ্জামান, মুকুল মিয়া, আবুল কালাম, আনোয়ারুল ইসলাম ও সুমন মিয়াসহ ৩০-৪০জনের একটি সংঘবদ্ধ দল খাদ্য অফিস পাহারা দেন। যাতে করে কোনো ডিলার যেন উপজেলা খাদ্য অফিসে ঢুকতে না পারে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিলাররা যদি কাগজপত্র ঠিক না করতে পারে তাহলে তাদের পলাতক হিসেবে গণ্য করে বিএনপি নেতারা তাদের নিজ নামে ডিলারশিপ নেবেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাল তুলে বিতরণের জন্য ডিলারদের নির্দেশনা দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্ধারিত সময় পার হলেও ডিলাররা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে চাল তুলতে পারেননি।
আবারও ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়েছে। উপজেলায় ৯ ইউনিয়নের ৩৮ জন ডিলারের বিপরীতে ২০ হাজার ৬৩০ জন সুবিধাভোগি কার্ডধারী রয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির জন্য ৬১৮ মেট্রিক টন ৯০০ কেজি চাল এসেছে। ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে সুবিধাভোগীদের চাল বিতরণ করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে আবুল কালাম জানান, যাদের নামে ডিলার রয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের। সাধারণ জনগণের নামে কোনো ডিলার নেই। আওয়ামী লীগের সব ডিলারদের বাতিল করে আবার নতুন করে ডিলার নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
ডিলার আব্দুল আখের সরকার জানান, বিএনপি নেতাদের কথা না শুনে যদি খাদ্য তোলা হয় তাহলে তারা পথে আটক করে খাদ্য লুট করে নিয়ে যাবেন বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। পক্ষান্তরে তাদের ডিলারশিপ বাতিল ও জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
ডিলার মিলন মিয়া জানান, সঠিক সময়ে চাল বিতরণ নিয়ে সংশয়ে আছি। তাই যৌথবাহিনীর দ্বারা খাদ্য স্ব স্ব ইউনিয়নে নিরাপদে পৌঁছানোর দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপি নেতাদের উপজেলা খাদ্য অফিস পাহারা দেওয়ার কোনো নির্দেশনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খন্দকার মতিয়ার রহমান পরে কথা বলবেন বলে জানান।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুফিয়া সুলতানা সরদারকে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
ইউএনও নাজমুল হক সুমন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আগের ডিলাররা থাকবেন। আর যারা বাধা দিচ্ছেন তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।