Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্ত্রী-শ্যালকের পর দগ্ধ শাশুড়িও না ফেরার দেশে

Icon

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম

স্ত্রী-শ্যালকের পর দগ্ধ শাশুড়িও না ফেরার দেশে

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় যুবকের দেওয়া আগুনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী ও শ্যালকের মৃত্যুর পর দগ্ধ শাশুড়িও না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চাচি শাশুড়ি শিরীন আক্তার।

এর আগে বুধবার বিকালে মারা যান স্ত্রী শারমিন আক্তার এবং স্ত্রীর চাচাতো ভাই রুবেল। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে তিনজনই মারা গেলেন।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গালা গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে ঢাকার ধামরাই উপজেলার রাজাপুর গ্রামের হাসান আলীর সঙ্গে ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৯ বছরের রোহান নামের এক ছেলে আছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাকে অমানবিক নির্যাতন করত। গত ১২ সেপ্টেম্বর শারমিন আক্তার বাবার বাড়ি এসে স্বামী হাসান আলীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এ খবর শুনে হাসান আলী শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়ি আসেন। স্বামী আসার খবর শুনে শারমিন তার চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় হাসান চাচাশ্বশুরের বাড়ির বাথরুমের উপর দিয়ে রুমের ফলস সিলিং ভেঙে রুমে প্রবেশ করে। পরে তিনি পেট্রল দিয়ে শারমিনের শরীরে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টা করেন। এ সময় শারমিনকে বাঁচাতে এসে চাচি শিরীন আক্তার ও চাচাতো ভাই রুবেলের শরীরেও আগুন লেগে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠায়।

সাটুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, ওই দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেবে শুনে স্বামী হাসান আলী গায়ে পেট্রল দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার শারমিন ও রুবেল মারা যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে শারমিনের চাচি শিরীন আক্তারও মারা যান। এ ঘটনায় তিনজনেরই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।

সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো বলেন, ঘটনার পরেই ১৩ সেপ্টেম্বর নিহত শারমিনের ভাই শামীম বাদী হয়ে হাসান আলীকে আসামি করে সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হাসান আলীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম