সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নিজেদের ছাত্র আন্দোলনের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টাকালে নয় যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলার বুড়দেও গ্রামের রশিদ আলীর ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী আবু সাঈদ রবিন (২২), একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহ জাহান আহমদ (২৯), উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির পাড়ুয়া নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে আরিফ হাসান জুবায়ের (২৭), টুকের বাজারের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাজন মিয়া (২৫), শাকেরা এলাকার আব্দুল বাছেদের ছেলে দিদার হোসেন (২৫), কাঁঠালবাড়ি গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (২৫), শাহ আরফিন এলাকার হাইদুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৬), বটেরতল গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে নাসির মিয়া (২৫), বাহাদুরপুর গ্রামের কালু ভূঁইয়ার ছেলে সোলায়মান (২৭)। 

বুধবার রাত দেড়টায় উপজেলার দয়ার বাজারের পূর্বধলাই কেজি স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলার কালীবাড়ি গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে ছাত্র সমন্বয়ক নূর আহমদ (২৫)।

স্থানীয় ও অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বুধবার রাতে ধলাই নদ ও সাদাপাথর থেকে নৌকার শ্রমিক ও মাঝিদের পাথর ও বালু চুরির প্রলোভন দেখিয়ে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করে তারা। একপর্যায়ে স্থানীয়রা তাদের আটক করলে তারা চাঁদা দাবির কথা অকপটে স্বীকার করে। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে থাকা উপজেলার নয়াগাঙ্গেরপাড় গ্রামের ইলিয়াছুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান মামুন (২৭) ও লামাগ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে সোহেল আহমদ রানা (২৯) জড়িত ছিল বলে জানায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ বদিউজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, চাঁদাবাজির চেষ্টাকালে নয়জনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।