সাবেক দুই এমপিসহ ৭৪ জনের নামে মামলা
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কুটিরডাঙ্গা এলাকায় জোরপূর্বক ভূমি দখল করে বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি ও হামলা করে হত্যাচেষ্টা এবং নিরীহ কৃষকদের আহত করার অভিযোগে নীলফামারীর সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নামীয় ৭৪ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কুঠিরডাঙ্গা গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে কৃষক আনিছুর রহমান (৪০) বাদী হয়ে নীলফামারীর ডিমলা আমলি আদালতে হাজির হয়ে এ মামলা করেন।
বিচারক আশিকুর রহমান মামলাটি ডিমলা থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও পুর্নবাসন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, ডিমলা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌস পারভেজ, ডিমলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এইচএম ফিরোজ সরকারসহ ডিমলা উপজেলার ৭৪ জন। এ মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে ৭২ জন কৃষককে সাক্ষী করা হয়।
মামলায় বলা হয়- আসামিরা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাকর্মী। তাদের একটি সন্ত্রাসী টিম রয়েছে যার নাম আগুন খাওয়া। বাদী মামলায় বলেন, আসামিরা ২০১১ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত বাদীসহ এলাকার কৃষকদের প্রায় ৩০ একর জমি জোরপূর্বক দখল করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। বাধা দিতে গেলে জমির মালিকদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টায় আহত করে। এমনকি এলাকার হাটবাজার বাসাবাড়িতে হুমকি দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে আসে। তাদের ভয়ে এতদিন কেউ আইনের আশ্রয় নিতে ব্যর্থ হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় বাদীসহ নিরীহ কৃষকরা তাদের প্রাপ্ত জমি ও ক্ষতিপূরণ ফিরে পেতে এবং আসামিদের বিচারের দাবিতে এ মামলা করেছেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহম্মদ রবিউল ইসলাম জানান, এ মামলায় ২১টি ধারা আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ডিমলা থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।